ধরখার ইউপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাএলীগ নেতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া:-আখাউড়া উপজেলার বৃহৎ ধরখার ইউনিয়নের আগ্রহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার সরকারী সিদ্ধান্ত শোনার পর আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাথে তাল মিলিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন । রঙ্গিন রঙ্গিন বিলবোর্ড শুভা পাচ্ছে ইউনিয়নের হাঁট-বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা উঠান বৈঠকসহ নানা কলাকৌশলে কুশল বিনিময় করে নজর কাড়ছেন ভোটারদের। প্রায় ৩ মাস পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘরে বসে নেই ধরখার ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯টি ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থীরা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে হাঁট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানগুলোতে চায়ের চুমুকের সাথে সাথে চলছে নানা ধরনের বাক-বিতন্ডা। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কেউ বলছেন অমুক পাবে তো কেউ বলছেন না হমুক। এভাবেই কাঁক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম থাকে গ্রামীণ চা-স্টলগুলো। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টলে বসা লোকদের সাথে চা-পান করে কুশল বিনিময় ও দোয়া চেয়ে নিচ্ছেন। তাতে বেজায় খুশি স্টল মালিকেরাও। একদিকে বেড়েছে চা-স্টলের বেঁচাকেনা অন্যদিকে বাড়তে শুরু করেছে ভোটারদের কদর। জানা যায়, ধরখার ইউপিতে আওয়ামী লীগে সমর্থিত একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন লাভের আশায় জোর গ্রুপিং লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
মসজিদ মাদ্রাসায় দান করার পাশাপাশি বিচার বৈঠকেও উপস্থিত হচ্ছেন নিয়মিত। হরেক রকমের খেলাধুলায় প্রাইজ ও প্রাইজমানীসহ শরিক হচ্ছেন একাধিক অনুষ্ঠানে। ছাড়ছেন কথার ফুলঝুড়ি। জানাযা, শিরনি, বিবাহনুষ্ঠানসহ যে কোন ঘরোয়া উৎসবেও প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষনীয়। এবারের নির্বাচনে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন ছাএলীগের নেতা মোঃশামীম সরকার, আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃআক্তার ভূইয়া, আখাউড়া উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণসম্পাদক গোলাম সামদানী (ফেরদৌস)।
তারুন্যের অহংকার,রাজপথ কাপানোঁ ধরখার ইউনিয়ন ছাএলীগের নেতা মোঃশামীম সরকার,ধরখার ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনিত প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনিত করলে আমি প্রতিদ্বন্ধিতা করব। দলের সিন্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করব না।তারুন্যের অহংকার এই স্লোগান নিয়ে তিনি এবার ধরখার ইউপি থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রথম নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, জনসেবাকে ইবাদত মনে করে সমাজের দু:স্থ, গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সুন্দর সমাজ বিনির্মান করতে চাই। ইউনিয়নের এলাকার সর্বস্থরের মানুষকে সবধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জানিনা আমি কতটুকু পেরেছি, যদি আমি আসলেই মানুষের জন্য কিছু করে থাকি তাহলে এলাকার জনগন আমাকে নিরাশ করবেন না। এবার তিনি আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনীত প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদি। তাই আমি এবার দলীয় মনোনীত প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হব, ইনশাআল্লাহ। আগামীতে যতদিন বাচবো সবার পাশে থেকেই কাজ করে যাবো। । তিনি বলেন, জনগনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধরখারকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, দলের বাইরে গিয়ে কিছু করব না। দল আমাকে মনোনয়ন না দিলে আমি প্রার্থী হব না।
অন্যদিকে প্রচার প্রচারনায় পিছিয়ে নেই ওয়ার্ড সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগন। মেম্বার পদে অর্ধশতাধিক ও মহিলা মেম্বার পদে ১০ থেকে ১২জন সক্রিয় প্রচার চালাচ্ছেন। তারাও নিয়মিত ঘরোয়া বৈঠকসহ হেঁটে হেটে কুশল বিনিময় করে জনগনের খোজখবর নিচ্ছেন