বিজয়নগরে দুই গ্রামের বিরোধ মিটেনি, ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ
মাসুক হৃদয় : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনা নিয়ে সাতগাঁও ও খাদুরাইল গ্রামের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ গত পাঁচ দিনেও মিটেনি। ফলে ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে দৈনন্দিন বাজার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের অলি মিয়ার মেয়ে পার্শ্ববর্তী চান্দুরা ইউনিয়নের দাউদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। একই এলাকার সাতগাঁও গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে হুমায়ুন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করত। গত ৩ এপ্রিল বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুমায়ুন তাকে বিয়ের প্র¯—াব দেয়। প্র¯—াবে রাজি না হলে তিন দিনের মধ্যে তাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। ওই ছাত্রী এ ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। ছাত্রীর বাবা বিষয়টি হুমায়ুনের বাবাকে জানায়। এতে হুমায়ুন ¶িপ্ত হয়ে পরদিন ৫ এপ্রিল সকালে স্থানীয় আমতলি বাজারে ছাত্রীর চাচাত ভাই বোরহানকে একা পেয়ে মারধর করে। এ খবর জানাজানি হলে ওইদিন দুপুরে খাদুরাইল ও সাতগাঁও গ্রামের লোকজন দা, বলম, লাঠি নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুপ¶ের ১৫ জন আহত হয়। সংর্ঘষ চলাকালে দাঙ্গাবাজরা ৮/১০টি বসত ঘর ভাংচুর করে।
স্কুল ছাত্রীর বাবা অলি মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘হুমায়ূন দীর্ঘদিন থেকে আমার মেয়েকে বিরক্ত করে আসছে। সে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি বিচার দেওয়ায় সে আমার ভাতিজা বোরহানকে পিটিয়েছে।’
ওই স্কুলছাত্রী বলে, ‘হুমায়ুন কয়েক দিন ধরে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে খুব বিরক্ত করছিল। গত মঙ্গলবার সে আমাকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।’
হুমায়ূন এসব অভিযোগ অ¯^ীকার করে বলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, ‘খাদুরাইল ও সাতগাঁও গ্রামের লোকজনের মধ্যে চলাচল ¯^াভাবিক হয়েছে। ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই।’