মজুদদারদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আইন হচ্ছে.. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাদ্যমন্ত্রী
কেউ যাতে অতিরিক্ত মজুদ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পারে সেজন্য মজুদদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) শেষে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও সুষ্ঠ বিপনন ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার আইন প্রনয়নসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সে আলোকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভুরতর্কিসহ উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যেখানে আগে বিঘা প্রতি আট থেকে ১০ মণ ধান হতো এখন সেখানে ৩০/৩৫ মণ ধান হচ্ছে। কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া দেশ খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং প্রতিবছরই উদ্ধৃত থাকে।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশে চার থেকে সোয়া চারকোটি টন ধান উৎপাদিত হলেও চক চকে চাল করতে গিয়ে অতিরিক্ত ছাটাই করা হয়। এতে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হওয়ার সাথে প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিকটন চাউল কম উৎপাদিত হয়। তাই পুষ্টিগুণ বজায় রেখে ধান থেকে চালের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয় কমাতেও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার সুফল মিলবে ভূক্তপর্যায়েও। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চাল সংরক্ষণের জন্য স্টীল সাইলোটির উদ্বোধন করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। স্বাগত বক্তৃতা করেন সাইলো অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে দেশের অন্যতম গম সংরক্ষণের জন্য ৫০ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (সংস্কার কাজ) করা হয়। এর ফলে এখন থেকে ৫শ,র বদলে ৮শ থেকে এক হাজার মেট্টিক টন গম দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।