মেঘনায় ডুবে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
মেঘনা নদীতে অবশেষে ভেসে উঠলো নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ শিক্ষার্থী ইসরাফুল মেহরাবের লাশ।
নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় সোনারামপুর ঘটনাস্থলের পাশে মেঘনা নদীতে ইসরাফুল মেহরাবের লাশ ভেসে উঠে।
এর আগে মেঘনা নদীতে আরেক শিক্ষার্থী তানজিবা বিনতে তানভীর ওরফে প্রাপ্তি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আর এরই মাধ্যমে উদ্ধার কাজ শেষ করেছে উদ্ধারকারী দল ও আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা রোববার রাতে যুগান্তরকে বলেন, ২৬ ঘণ্টা পর সন্ধায় সোনারামপুর ঘটনাস্থলের পাশে মেঘনা নদীতে ইসরাফুল মেহরাবের লাশ ভেসে উঠে। নদীতে এলাকাবাসী নিহতের লাশ ভাসতে দেখে ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দিলে ভৈরব ও ময়মনসিংহ ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের লোকজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে দুই শিক্ষার্থীর লাশ থানা পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশপাশি আর কোনো সন্দেহ না থাকায় উদ্ধার অভিযান সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে।
নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সাব লেফটেনেন্ট মো. আক্কাস আলী জানান, রোববার সকাল থেকেই মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। দুজনকেই পাওয়া যাওয়ায় আমাদের উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে মেঘনা নদীর ভৈরব কাঠপট্টি এলাকার মাঝামাঝি স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তানজিবা বিনতে তানভীর ওরফে প্রাপ্তি (২০) ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার তানভীর আহমেদের মেয়ে ও ঢাকা নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে প্রাপ্তি ও মেহরাবসহ নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত বন্ধু মিলে আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় বেড়াতে যান। এদের মধ্যে দুইজন মেয়ে ও পাঁচজন ছেলে বন্ধু ছিল। এসময় সোনারামপুরের সিরাজগঞ্জ-আশুগঞ্জ গ্রিড লাইনের টাওয়ারের উত্তর পাশে মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় প্রাপ্তি ও মেহরাব গোসল করতে নামেন।
সাতাঁর না জানার কারণে প্রবল স্রোতে হঠাৎ দুজন তলিয়ে যাওয়ার সময় বাকিরাও তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় এলাকাবাসী পাঁচজনকে উদ্ধার করতে পারলেও প্রাপ্তি ও মেহরাবকে উদ্ধার করতে পারেনি।
বেঁচে যাওয়া পাঁচ বন্ধুর একজন আলভী। তার বাবা জালাল উদ্দিন (৫০) ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর চরসোনারামপুর একটি নির্জন এলাকা ও মেঘনা নদীর পানি দ্বারা চারপাশ বেষ্টিত। এখানে প্রশানিকভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দরকার। যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকত তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না বলে দাবি করেন তিনি।