ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগে আশুগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা



চাঁদা না দেয়ায় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপকের ওপর হামলার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল ও লোকমান হোসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার কনস্ট্রাকশন ফার্মের ব্যবস্থাপক আতিকুর রহমান সুমন বাদী হয়ে মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
বিচারক সারোয়ার আলম মামলাটি তদন্ত করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার গোলচত্বর থেকে আড়াইসিধা-তালশহর পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজের সর্বনিম্ন দরপত্রদাতা হিসেবে কাজটি মেসার্স মোস্তফা কামাল ও লোকমান হোসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার কনস্ট্রাকশন ফার্মকে দেয়া হয়। এরপর থেকেই কাজটি ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দেয়ার জন্য তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক লোকমান হোসেনকে হুমকি দিতে থাকেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হুমকি উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ চালিয়ে যান। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের আলমনগর সড়ক সেতুর সামনে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে মামলায় অন্য অভিযুক্তরা গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে মামলার বাদী আতিকুর রহমান সুমনের কাছে লোকমান হোসেন কোথায় জানতে চান। এ সময় সালাহ উদ্দিন বলেন লোকমান হোসেন তাদেরকে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার কথা। তখন আতিকুর রহমান সুমন বলেন চাঁদার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ কথা বলার পর কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে আতিকুর রহমানের ওপর অভিযুক্তরা হামলা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার আইনজীবী মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, আদালত মামলাটি তদন্ত করে ডিবির ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে চাঁদা দাবি ও হামলার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, তদন্ত করে দেখুক ঘটনা সত্য কি-না, আমি জীবনে কারও কাছে চাঁদা চেয়েছি কি-না। রাস্তার কাজের মান ভালো রাখার জন্য জনগণের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে যদি মামলা হয় হবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। কাজের মান নিয়ে এলজিইডি বুঝবে, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব। লোকমান হোসেন কিংবা মোস্তফা কামালের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। রাস্তার কাজ যে খারাপ হচ্ছে তার প্রমাণ আছে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ-তালশহর সড়কের সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মো. সালহ উদ্দিন, তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সামা ও আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারাম্যান মো. সেলিম।