Main Menu

আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত॥

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক॥ মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীন বাংলাদেশের লাল- সবুজের পতাকা উত্তোলন করে আশুগঞ্জকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেছিলেন।
১৯৭১ সালে যখন পাক বাহিনী দেশব্যাপী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। ৯ডিসেম্বর আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে পাকবাহিনীর সাথে ব্যাপক যুদ্ধহয় মুক্তি ও মিএবাহিনীর সাথে। এসময় মুক্তি ও মিএবাহিনীর প্রায় ৩শতাধীক সেনা সদস্য মৃত্যুবরণ করে। এসময় পাকবাহিনীর প্রায় শতাধীক লোক মারা যায়। ১০ডিসেম্বর মিএবাহিনী ও বেঙ্গল রেজিমেন্ট সাড়া রাত ব্যাপী প্রস্তুতি নিয়ে ভোর বেলায় আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রেষ্ট হাউজে অবস্থান করে ব্যাপক যুদ্ধা হলে পাকবাহিনী রাতে আশুগঞ্জ থেকে পাশ্ববর্তী ভৈরবে পালিয়ে যায়। পাক বাহিনী আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার সময় মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এতে সেতুর ২টি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। পরে ১১ডিসেম্বর সকালে বিনা বাধায় আশুগঞ্জ বাজার এলাকা দখল করে মিএবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা। এতে আশুগঞ্জ শুত্রু মুক্ত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের উদ্যোগে গোলচত্বরে সম্মুখ সমর যুদ্ধ স্মৃতিস্তম্বে ও বঙ্গবন্ধু মোড়ালে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে শেষ হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক মৌসুমী বাইন হিরা সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহাকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম মুর্শেদ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন, আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক
কমান্ডার ইকবাল হোসেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী,মোজাম্মেল হক গোলাপ, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নজরুল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক শাহিন শিকদার, প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু প্রমুখ।






Shares