Main Menu

আশুগঞ্জে ফিলিং স্টেশনের ছাদ ধসে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

+100%-

আশুগঞ্জে নির্মাণাধীন সায়েরা ফিলিং স্টেশনের ছাদ ধসে চার নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মালিক মো. জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে অপুকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার রাতে মামলাটি করেন নিহত মো. নাজমুলের(২০) ভাই জিয়াউদ্দিন।তার বাড়ি আশুগঞ্জের যাত্রাপুরে।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বদরুল আলম জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর কারণেই ছাদ ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা পলাতক।

আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. শাহনূর আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

শাহনূর আলম জানান, কোনো ধরনের আর্কিট্যাকচারাল ডিজাইন বা প্লান ছাড়া ফিলিং স্টেশনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্টেশনটির মালিক জালাল উদ্দিন নিজেই শ্রমিক নিয়োগ করে এর নির্মাণ কাজ করাচ্ছিলেন। কোনো ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়নি।

তিনি জানান, ছাউনি নির্মাণের জন্যে যে চারটি পিলার দেয়া হয় সেগুলোরও ফাউন্ডেশন ছিল না। ফলে ঘটনার পর আমরা দেখেছি এগুলো গোঁড়া থেকে ভেঙেছে। মাঝখান দিয়ে ভাঙেনি। সেন্টারিংয়ে যে বাঁশ ব্যবহার করা হয় সেগুলোও পোকা ও ঘুণে ধরা।

তিনি আরো জানান, ফিলিং স্টেশনটি নির্মাণের জন্যে সরকারের অনুমোদন নেয়া হয়নি। জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিসে স্টেশনটি নির্মাণের অনুমতি চেয়ে দেয়া কোনো আবেদনপত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এ কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গেলো সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন বাহাদুরপুর এলাকায় সায়েরা ফিলিং স্টেশনের সামনের ছাউনির ছাদ ঢালাইয়ের পরপরই তা ধসে পড়ে। এতে নাজমুল, সরাইলের তেরাকান্দার মো. মিজান মিয়া(৩৫), আশুগঞ্জের যাত্রাপুরের দুলাল মিয়া(৫০) ও সদর উপজেলার সাদেকপুরের আবু সায়েদ(৪০) নিহত হন। আহত হয় আরো তিনজন।

জেলা সদর হাসপাতালে নিহত শ্রমিকদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তাদের দাফনের খরচ হিসেবে জেলা প্রশাসন দেয় ২০ হাজার টাকা করে।






Shares