নাসিরনগরে লিপি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে গৃহবধু লিপি হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার স্বজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩ টার দিকে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
লিপির হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন, লিপির মা মঞ্জু রাণী দেব, নাসিরনগর আশুতোষ পাইটল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক শরিফুজ্জামান চৌধুরী, লিপি বড় ভাই চন্দন দেবসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও উপজেলার প্রায় ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এমসয় মানববন্ধনে এলাকার শত শত নারী- পুরুষ হাতে হাত ধরে লিপি হত্যারকারীদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান ধরে।
এসময় লিপির বড়ভাই অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের জের ধরে তার ছোট বোন লিপিকে তার স্বামী মানিক দেব পরিকল্পিত ভাবে গলাটিপে হত্যাকরে। পরে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে স্পীডবোট করে লিপির লাশ নাসিরনগরে তার পৈত্রিত বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর লিপির স্বজনেরা অষ্টগ্রাম থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে চায়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, লিপির হত্যাকারীর স্বামী কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মানিক কুমার দেব। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আইন আদালতকে তোয়াক্কা করছেন না। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেতে নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাই তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানান।
উল্লেখ্য,গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি লিপি দেবকে মৃত অবস্থায় অষ্টগ্রাম থেকে বাপের বাড়ি নাসিরনগরে পাঠানো হয়। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবী করে লিপি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে লিপির পরিবারের দাবী স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লিপির মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় ১৭ই ফেব্রুয়ারি। সে সময় হত্মহত্যার কোন আলামত তারা পায়নি।