Main Menu

সবজি বিক্রি করে স্বাবলম্বী

স্মার্ট সবজি বিক্রেতা ওমর আলী

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা,নাসিরনগর হতে।।  মোঃ ওমর আলী(৫৬)। একজন ভূমিহীন হতদরিদ্রত কৃষক। বয়স খুব বেশি নয় আবার কমও নয়। ভারী কাজ করতে পারেন না তিনি। বেঁচে থাকার তাগিদে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন সবজি বিক্রির ব্যবসা। তিনি কাধে প্লাস্টিকের বস্তায় করে নাসিরনগরের অলিতে-গলিতে-ফুটপাতে সকাল-বিকাল ভ্রাম্যমাণ সবজি ফেরি করে দিনাতিপাত করেন।
সকাল-বিকাল ভ্রাম্যমান সবজি ফেরি করে ভালই দিনযাপন করছেন। ব্যবসাটা খুব বেশি মন্দ চলছেনা, সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নামাজ আদায় করা তার পর কাধে করে সবজি বিক্রির উদ্দেশ্য বের হওয়া। দুপুর হলে ঘরে ফিরে নামাজ পড়ে খেতে বসা। সম্ভব হলে বিচানায় একটু শরীরটাকে সমর্পন করা। কাধে একটি বাশঁ নিয়ে দুটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বিভিন্ন ধরণের সবজি ভরে বিক্রির উদ্দেশ্য বের হন। যে সকল সবজি বিক্রি করেন তা হল পুইশাখ,ডাটাশাখ,হেলেঞ্চা,কলমী, মিষ্টি কুমড়াসহ হরেক রকমের শাক,বেগুন, পটল, বরবটি, ঢেড়স,কাচকলা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের টাটকা সবজি। আলু, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া,পটল, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ যে মৌসুমে বাজারে যা পাওয়া যায় এমন সব সবজি। এতে প্রতিদিন গড়ে তার ৫০০-৭০০ টাকা আস হয়। তা দিয়ে চলে ৪ জনের সংসার।
ওমর আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে। গোর্কণ সহ নাসিরনগর উপজেলা সদরে সবাই তাকে সবজি ওমর বলে চিনে। যখন সে শবজি বিক্রি করতে বের হয় তখন বিভিন্ন শিল্পীদের গানের সাথে তাল মিলিয়ে গান গেয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
প্রায় ৫ বছর ধরে ওমর আলী নাসিরনগরের বিভিন্ন অলি-গলিতে কিংবা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে সবজি বিক্রি করে আসছে। সবজি বিক্রি করে যা উপার্জন হচ্চে তা দিয়েই চলে যাচ্ছে ৪ জনের সংসার। সংসারে ৩ মেয়ে সহ তার মা বাবা আছেন। দু-মেয়েকে সবজি বিক্রি করেই ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে বিয়ে দিয়েছেন। বড় মেয়ের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ৪০ হাজার টাকা নগদও দিয়েছেন।






Shares