মন্ত্রী ছায়েদুলের ‘নিস্পৃহ ভূমিকায়’ ক্ষুব্ধ সিপিবি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি
শুক্রবার রাজধানীর মুক্তিভবনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের প্রধান সেলিম। নাসিরনগর হামলার বিচার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার সারাদেশে ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন তিনি। ওই দিন নাসিরনগরে বিকাল তিনটায় জনসভার কথাও জানান তিনি।
পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার বদলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন। সেই সঙ্গে ‘ব্যর্থ’ প্রশাসনকে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা করা, আক্রান্তদেরকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া, রাষ্ট্রের দায়িত্বে ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরগুলো পুননির্মাণ করার দাবি জানান সেলিম।
সিপিবি সভাপতি জানান, গত রবিবার নাসিরনগরে সহিংসতার পর তার দলের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে। এই পর্যবেক্ষণে পুরো ঘটনাকেই পরিকল্পিত হামলা বলে মনে হয়েছে তাদের কাছে।
এই ঘটনায় প্রশাসন ও পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করেনি বলেও অভিযোগ করেন সেলিম। বলেন, ‘থানা থেকে দুইশ গজ, উপজেলা প্রশাসন থেকে একশ গজে মধ্যে সূত্রধরপাড়ার ঘরে ঘরে যখন আক্রমণ করা হয়, লুুটপাট করা হয়, তখন পুলিশ ও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।’
সিপিবি সভাপতি জানান, স্থানীয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জস দাস জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তাকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তিনি ফোন করলেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার ফোনে সাড়া দেননি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের ভূমিকারও নিন্দা জানান সিপিবি সভাপতি। বলেন, ‘বারবার নির্বাচিত স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রীর নিস্পৃহতা, আক্রান্ত পরিবারগুলোর পাশে না দাঁড়ানো, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদেরকে ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখানো হয়েছে বলে শাসানো ইত্যাদি আক্রান্তদেরকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। অপরদিকে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নীরবতাও আক্রান্তদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে।’