Main Menu

নাসিরনগরে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু জল, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর হতে।।  ৫-১০ মিনিটের হালকা বৃষ্টিতেই জল থইথই।
সামান্য বৃষ্টি! আর তাতেই রাস্তায় জল জমে গেছে । নাসিরনগরে প্রবেশের প্রধান রাস্তা এটি। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন সামান্য ৫-১০ মিনিটের বৃষ্টিতেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বর্ষায় ভরা মৌসুমের ভারী বৃষ্টিতে কতটা সমস্যায় পড়তে হবে।

২ জুলাই সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় ৫-১০ মিনিটের বৃষ্টিতে পানি জমে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী সহ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী চলাচল করেন। বেশ কিছুদিন ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বই-খাতা মাথায় তুলে হাঁটু পানি দিয়ে ভিজে রাস্তা পার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে ছাত্রীদের। নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ শ্রেণির শিক্ষার্থী জুনায়েদ বলেন, স্কুলে আসার সময় কোন পানি ছিলনা। পরিক্ষা দিয়ে স্কুল হতে বের হয়ে আসতেই বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় পানি জমে থাকা দেখে অবাক হই। কারণ আমাদের স্কুলে যেতে হলে এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। অনেক সময় পানিতে পড়ে বইপুস্তক নষ্ট হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ফাহাদ হোসেন,রনি,আলাউদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগেও মাননীয় এমপি মহোদয় সহ এলাকার সিনিয়র ভাইয়েরা মিলে সেচ্ছা শ্রম দিয়ে রাস্তার সংস্কার করা হয়েছে। তার পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ড্রেনের পানি নিষ্কাশ হতে না পারার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা বলেন, ১০ মিনিটের বৃষ্টি হলেই দক্ষিন পাড়ার এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাঁটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে রাস্তা পাড়াপাড় হতে হয়।
নাসিরনগর ডিগ্রী মহা বিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্রী রীনা দাস বলেন, কলেজে ভর্তি হওয়ার পর হতেই দেখছি সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাটু পানি জমে যায়। মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সারা বছরই জলাবদ্ধতায় বন্ধী থাকতে হয় পথচারীদের।

নাসিরনগর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবেদ মিয়া বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পানিতে থই থই করে। স্কুলে আসতে ভয় করে। প্রায় সময়ই পানিতে পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। যার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এ রাস্তাটি সংস্কার ও ড্রেন মেরামত করা দরকার।

এ বিষয়ে নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ড্রেনটি গত মাসে তিন বার পরিষ্কার করিয়েছি। ঈদের আগে রাস্তায় বালু ফেলে পথচারীদের দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করেছি। নতুন বাজেট আসলে রাস্তা এবং ড্রেন সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares