নাসিরনগরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড,চাঁদার দাবীতে বাড়ী ঘর ভাংচুর, লুটপাট,অগ্নি সংযোগ ও মারপিট
নাসিরনগর প্রতিনিধিঃ:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পূর্ব শত্রুতা, মামলা মোকদ্দমা .জমিজমার বিরোধ ও চাঁদা দাবীর জেরকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে মহিলা পুরুষকে পিটিয়ে আহত করে বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ও এর দুই দিন আগে পর পর দুইবার জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে এ হামলা চালায়। এ বিষয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে ।
মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ,কুন্ডা গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তার কুন্ডা বাজারে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বিল্ডিং নির্মান করতে গেলে তার চাচাতো ভাই মোঃ আব্দুস সালাম ও তার দলবল সাত্তারের নিকট ২ লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে। চাদাঁ প্রদানে ব্যর্থ হওয়া সালামের লোকজন সাত্তারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট ও বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাংচুর চালায়। এ নিয়ে ১৬ ডিসেম্ভর মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সালাম সহ মোঃ কাদির মিয়া,মোঃ আজিদ মিয়া মোঃ মজিদ মিয়া,মোঃ বাহার মিয়া,মোঃ আরিজ মিয়া,মোঃ আলমগীর মিয়া,মোঃ রাজিব মিয়া মোঃ সুজন মিয়া,মোঃ আমিরুল মিয়া,মোঃ সফিকুল মোঃ রিপন মিয়াুু ১২ জনের নামে মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নাসিরনগর থানাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে প্রাথমিক সত্য প্রমানিত হলে আদালতে চার্জসীট প্রেরন করে।
আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে আবারো সোমবার দুপুর ২ ঘটিকায় পূর্বের ন্যায় সাত্তারের বাড়িকে হামলা চারায়। এ সময়ে তাদের মারপিটে মোঃ সহিদুল মিয়া(৬০),মোঃ আবুল কাসেম(৩৭)মোঃ উজ্জল মিয়া(১৫) ইয়াছমিন(২৮)হাফিজা বেগম(৩০) নুরজাহান(৪০) ও মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মোঃ আব্দুস সাত্তার মারাত্বক আহত হয়। আহতদের তাৎক্ষনিক নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। মূমুর্ষ অবস্থায় মোঃ সহিদুল মিয়া কে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সাত্তার ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে ১৫জানুয়ারী আব্দুস ছালামের মেয়ের জামাই সন্ত্রাসী মোঃ মামুন মিয়া সাত্তারের ভাগিনা ঢাকার গুলিস্থানের কাচামাল ব্যবসায়ী মোঃ সহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ রফিকুর ইসলাম রাত অনুমান সাড়ে আটটায় গুলিস্থান থেকে অপহরণ করে আরমানিটোলা এলাকা নিয়ে একটি বিল্ডিং ঘরে থালাবদ্ব করে তার ছোট ভাই মোঃ মনিরকে ফোন করে সেখানে যেতে বলে । ফোনে মামুন মনির কে বলে তোর মামাকে বলবে বিল্ডিং নির্মান বন্ধ করতে। নইলে তোর ভাই মোঃ রফিকুল কে কেটে টুকরা টুকরা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিব । সাত্তার জানায় পরে নিরূপায় হয়ে বিল্ডিং নির্মান বন্ধের ওয়াদা দিয়ে রফিকুল কে অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধা করা হয়।
সাত্তার এ প্রতিনিধিকে জানায় বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতংকে বসবাস করছে । তিনি আরো জানান আসামীদের বিরোদ্ধে থানা ও আদালতে, চুরি,অগ্নিসংযোগ,মারামারি,শ্লীলতাহানি সহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে।