নাসিরনগরে মিথ্যা খুনের মামলায়, আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হয়রানির অভিযোগ।
নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ- পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক কলহ, রাজনৈতিক মনোমালিন্যের জের ধরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবির দরবেশ সহ ১০ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে রান্না করতে গিয়ে স্টোবের আগুনে অগ্নিদগ্ধ ড্রেজার শ্রমিকের নিহতের ঘটনায় মিথ্যা খুনের মামলা পরিনত করে নিহতের পিতা একই গ্রামের মোঃ হানিছ মিয়া বাদী হয়ে ২৪ মে হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ক গ ৭ এর আদালতে ১০ জনের নামে একটি মিথ্যা খুনের মামলা দায়ের করে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার আসামীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন কবির দরবেশ, মারাজ মিয়ার ছেলে মোঃ সফু মিয়া, মোঃ জামাল মিয়া, মোঃ শাহ আলম, মোঃ লালন মিয়া, রৌশন আলীর ছেলে মোঃ বাহার মিয়া, মোঃ আবু তাহের, মোঃ জলফু মিয়ার ছেলে হেবজু মিয়া, ছুরত আলীর ছেলে জাহার মিয়া, বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ ফজু মিয়া। অভিযোগকারীরা জানান বাদীর ছেলে মোঃ আল আমিন (আমির) (১৮) ও মারাজ মিয়ার ছেলে সফু মিয়া হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মস্তু মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করত।
সরজমিনে এলাকায় গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের সাথে কথা বলে জানা যায় ২৫ মার্চ বিকাল অনুমান সাড়ে ছয় ঘটিকার সময় আল আমিন (আমির) কেরোসিন ভর্তি পাম্পের চোলায় রাতের রান্না করতে বসে। ওই সময় তার সহকর্মী অপর ড্রেজার শ্রমিক সফু মিয়া অনুমান এক কিলোমিটার দুরে কাজ করছিল। রান্নার সময়ে স্টোভে পাম্প না থাকায় আল আমিন চোলায় আগুন দিয়ে পাম্প দিতে শুরু করে। অতিরিক্ত পাম্পের কারণে চুলাটি ব্রাষ্ট হয়ে আল আমিনের গায়ে আগুন ধরে যায়। আল আমিনের চিৎকারে প্রতিবেশী নারী পুরুষ ও তার সহকর্মী দৌড়ে এসে তাৎক্ষণিক তার শরীর থেকে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। তার অবস্থায় আশংকা জনক দেখে উপস্থিত লোকজন সি এনজি যোগে আল আমিনকে নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়া আসে। আল আমিনের অবস্থায় আশংকা জনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ১০ মে বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকার সময় আল আমিনের মৃত্যু হয়।
পরে ১১ মে ২০১৬ইং তারিখে ঢাকার শাহবাগ থানার জিডি নং- ৬৫৩ মূলে নিহতের দেহের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে জানাযা শেষে লাশের দাফন সমপন্ন করা হয়। ওই ঘটনার প্রায়ই ৬০ দিন পর নিহতের পিতা মোঃ হানিছ মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে আদালতে মিথ্যা খুনের মামলা দায়ের করে বলে জানান অভিযোগকারীরা। মামলার বাদী হানিছ মিয়ার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।