নাসিরনগরে মরিচ ক্ষেতের পাশে ইট রাখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০



নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মরিচ ক্ষেতের পাশে ইট রাখাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরতর আহত অবস্থায় একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলো- সোহাগ মিয়া, আ. ছালাম, জাকির মিয়া, আউলিয়া বেগম, মামুন মিয়া, সুখন মিয়া, জয়নাল মিয়া, পারুল বেগম, অলি উল্লাহ, কাউছার মিয়া, মাকসুদুল মিয়া, তাসলিমা বেগম, রাসেল মিয়া, আলতাব মিয়া, তারেক মিয়া, কালাম মিয়া, শাকিল মিয়া, রেজওয়ান আহমেদ, হাসান উল্লাহ, একরাম মিয়া, তামান্না বেগম প্রমুখ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে মতি মিয়া ইটভাটা থেকে ইট এনে মাহমুদা বেগমের মরিচ ক্ষেতের পাশে রাখে। মাহমুদা বাঁধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি গ্রামের দুপক্ষের লোকদের মাঝে জানাজানি হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলে উভয় পক্ষ নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়।
পরের দিন সোমবার ২৩ মার্চ সকালে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে চাতলপাড় ফাঁড়ির ইনচার্য রঞ্জন কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনও সময় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজহারুল জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। আমারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সকাল বেলা উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত দুইদিনে এই হাসপাতালে প্রায় ৭০ জন মারামারির রোগী এসেছে। করোনা আক্রান্তের ভয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসছে অথচ তাদের ভালোভাবে সময় দেয়া যাচ্ছে না। মারামারির রোগীর কারণে আমাদের সারাদিন জরুরী বিভাগে সময় দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক রাখে।