নাসিরনগরে ভুয়া এনজিও’র নামে কোটি টাকার চেক জালিয়াতির অভিযোগ



নাসিরনগর প্রতিনিধি:: জেলার নাসিরনগরে ভুয়া এনজিও সমিতির নামে কোটি টাকার চেক জালিয়াতি ও লক্ষাধীক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেক জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক শিউলি আক্তার গা ঢাকা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ায়। তাকে গ্রেপ্তার করে দুষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে ভুক্তভুগীরা।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভুগীরা ২০ আগষ্ট মঙ্গলবার স্থানীয় স্মৃতিসৌধের পাশে দাড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। পরে সকল ভুক্তভুগীরা নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী হতে ২০১৮ সালে ১ ডিসেম্ভর পর্যন্ত স্বল্প সুদে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ পাবার আশায় এককালিন ১০ হাজার টাকা জমা করে। পরে সমিতির শর্তানুযায়ী তারা ঋণের জন্য আবেদন করার কথা বলে দুটি খালি চেক ও দুটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর পর প্রায় একবছর অতিবাহিত হলেও তাদের ঋণ দেয়নি। পরে তাদের জমানো টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি(শিউলি আক্তার) টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকী প্রদান করে। পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় ভাবে এ বিষয় নিয়ে বিচার শালিস করার সিদ্ধান্ত হলেও শিউলি বিচারে বসতে রাজি হয়নি।
ভুক্তভুগী পাখি আক্তার ও জরিনা আক্তার এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ব্যাংকে একাউন্ট খুলার মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই। আমরা তিনটি ছাগল বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা শিউলির হাতে তুলে দেই। অপর একজন রতনা বেগম ও নুরুল হক বলেন,আয়ের একমাত্র অবলম্বন গরু বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা দেই। এবং ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করে তার কাছে প্রদান করি।
তারা আরো জানায়,পরবর্তীতে আমাদের ঋণের টাকা প্রদান না করে আমাদের কাছ থেকে গৃহীত স্বাক্ষরকৃত চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে আদালতে চেক জালিয়াতি ও টাকা পাবার কথা বলে উকিল নোটিশ প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে মিথ্যা মামলা ও অর্থ আত্মসাৎ’র কথা শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও শাররীক ভাবে অসুস্থ হয়ে জেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নুরুল হক। যে কোন সময় জীবন নাশের ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজগর আলী স্মারকলিপির কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হতদরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার কথা বলে চেক জালিয়াতি ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প কুক্ষিগত করে উকিল নোটিশ প্রদানের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।