Main Menu

সরাইলে যুবলীগ নেতার কান্ড!

+100%-

সরাইল যুবলীগ নেতার কান্ড। নিজের পিঠ ও চেয়ারম্যানের চেয়ার পেতে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেই গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো, হুমায়ুন কবির ।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হাসিনা সরকার পতনের পর গত ২০ শে অক্টোবর সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে সরাইল থানা পুলিশ।

এরপর থেকে হুমায়ুন কবির দীর্ঘদিন জেলে থাকায় চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান পরিষদের একজন ইউপি সদস্য।

পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ১জানুয়ারী জেল থেকে বেরিয়ে আসেন হুমায়ুন কবির। জামিনে বেরিয়ে এসে নিজের পিঠ ও চেয়ারম্যান পদের চেয়ার রক্ষা করতে তিনি আওয়ামী লীগের খোলস পাল্টে এখন বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী ও ঘরানার লোক সাজতে নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন মুখরোচক আলোচনা সমালোচনা এখন চুন্টা ইউনিয়নে নানা পেশার মানুষের মুখে মুখে।

এদিকে হুমায়ুন কবির জেল থেকে বের হবার ৪দিন পর গত সোমবার (৬জানুয়ারী) চুন্টা স্কুল পাড়ায় ছানা উল্লাহ মাস্টারের বাড়িতে চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। বিএনপির সেই কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ – আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এসময় যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির কৌশল খাটিয়ে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার পাশেই অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেন ও সেই ছবি হুমায়ুন কবির সংগ্রহ করে ছড়িয়ে দেন।

চুন্টা ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হুমায়ুন কবির পুনরায় চেয়ারম্যান পদের চেয়ার ও নিজের পিঠ রক্ষা করতে তিনি বিএনপির নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন এবং তিনি (হুমায়ুন) বিএনপিতে যোগদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এদিকে চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, হুমায়ুন কবির চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি আওয়ামী লীগ করেন। হুমায়ুন কবির বিএনপিতে যোগদান কোনোভাবেই সম্ভব না, কারণ ত্যাগী নেতা-কর্মীরা তা কখনোই মেনে নেবে না।

তবে বিএনপির কর্মী সভায় রুমিন ফারহানার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সংগ্রহ করা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবিরের বোকামি ছাড়া আর কিছু না। এতে তিনি বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন, এসবে হুমায়ুন কবির-ই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত। আমি এখন আওয়ামী লীগের কেউ না। বিএনপিতে কি যোগদান করার চেষ্টা করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির বলেন, এমন কিছু না, বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা চুন্টা গ্রামে এসেছিলেন। তিনি যেখানে এসেছেন সেটা আমার আত্মীয় বাড়ি। তাছাড়া একজন ইউপি চেয়ারম্যান সব জায়গায় যেতে পারে, এটা দোষের কিছু না।