Main Menu

শীতে কাঁপছে সরাইল, জনজীবন বিপর্যস্ত

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃতীব্র শীতে কাঁপছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমগ্র উপজেলায় হালকা কূয়াশা পড়ছে। সন্ধ্যার পর কূয়াশা ধারন করছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির আকার। দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা হয়ে পড়ছে বিপর্যস্ত। সন্ধ্যার পর সড়কের পাশে সাময়িক সময় শীতের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য আগুন দিতে দেখা যায়। অধিকাংশ মানুষ সকাল নয়টায় বের হলেও রাত সাতটার পর ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তাঘাট হাট বাজার। সড়কে কমে যায় যান চলাচল। কাপড়ের দোকান গুলোতে গরম কাপড়ের ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দাম। সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশের খালি জায়গায় পুরাতন শীত বস্ত্রের দোকান গুলোতে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভীড়। স্থানীয় কিন্ডার গার্টেন বিদ্যালয় গুলোতে কমছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নেই শুরু হয়েছে শীতের ধান কাটা। ধান কাটা কষ্ট সাধ্য হলেও রুদ্রের অভাবে শুকাতে পারছেন না কৃষকরা। নষ্ট হচ্ছে খের (বন)। সিদ্ধ করা ধান নিয়ে বিপাকে আছেন সহস্রাধিক কৃষক। আর ২-৩ দিন সূর্য না উঠলে উপজেলার হাজার হাজার মণ ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশী অসুবিধায় সময় পার করছেন জেলেরা। তবুও মাছ ধরছেন তারা। কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দূর্ঘটনা। অত্যন্ত কষ্টে দিন পাড় করছেন দরিদ্র শ্রমজীবি লোকজন। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ কমে গেছে। সরকারি হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন ষাট উর্ধ্ব বয়সের মহিলা পুরুষরা। অতি সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র অসহায় লোকদের দুই শতাধিক কম্বল দেওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় তা নিতান্তই কম। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া জানান, সূর্য না উঠায় লোকজন গোসল করছে না। ফলে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া নিমোনিয়া সর্দি কাশির রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।






Shares