Main Menu

মাত্র এক টাকার জন্য–সরাইল হাসপাতালে হামলায় চিকিৎসক সহ আহত – ৭

+100%-

 

 

গ্রেপ্তারের দাবীতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকে ঃমাত্র এক টাকার জন্য সরাইল হাসপাতালে ঘটেছে তুলকালাম কান্ড। টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত মুসলিমকে এক টাকা কম দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আল-আমীন (২৬) নামের এক যুবকের নেতৃত্বে সরাইল হাসপাতালে হামলা চালায় একদল যুবক। হামলাকারীরা টিকেট কাউন্টার ভাংচুর করে মুসলিমকে মারধোর করে। তাকে রক্ষা করতে এলে দুইজন ডাক্তার ও পাঁচজন কর্মচারী আহত হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবীতেৃ বেলা ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করে চলেছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, টিকেটের সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩ টাকা। গতকাল সকালে উচালিয়া পাড়া গ্রামের আল-আমীন নামের যুবক কাউন্টারে এসে মুসলিমকে দেয় ২ টাকা। মুসলিম আরো এক টাকা চাইলে আল-আমীন এক’শ টাকার নোট দেয়। ভাংতি দিতে না পারায় সে ফ্রি টিকেট নেওয়ার চেষ্টা করে। বাঁধা দেওয়ায় মুসলিমকে গালমন্দ করে চলে যায় সে। কিছুক্ষণ পর আল-আমীন গ্রামের ২০/৩০ জন যুবক নিয়ে মুসলিমের উপর হামলা চালায়। কাউন্টার ভাংচুর করে খাতা পত্র ছুঁড়ে ফেলে দেয়। মুসলিমকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে ওই যুবকদের আক্রমনের স্বীকার হন ডাক্তার ও কর্মচারীরা। এতে সরাইল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নোমান মিয়া, উপ-সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান, অফিস সহকারি তারিকুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার মোঃ মোতাহার, ল্যাব এটেনডেন্ট ফরিদ মিয়া, এম এল এস এস আল-আমীন ও খাদিজা বেগম আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে বেলা ১২টা থেকে কর্মবিরতি ঘোষনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চরম ভোগান্তিতে পড়ে দূর দুরান্ত থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগত মহিলা পুরুষ ও শিশু রোগীরা। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে নিরাশ হয়ে ফিরে যায়। কেউ কেউ বারান্দায়, গাছের ছায়ায় বসে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় প্রখর গুনছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন দ্রুত হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন। রসুলপুরের বৃদ্ধ জিন্নত আলী (৫৭) বলেন, ২ টেহায় টিহেট না দেয়ায় লোকটারে শালার পুত কইয়া কতলা পুলাফানে শুরু করে মাইর ও ভাংচুর। ডাক্তররে পিডাইয়া মাডিতে ফালাইয়া দিছে। ফিরাইতে গেছিলাম মাইর খাইছি। ব্যবস্থা তো করতাম পারলাম না। ইসলামাবাদ গ্রামের বোরহান মিয়া (৪৮) বলেন, গুরুতর অসুস্থ্য রোগী লইয়া আইছিলাম। দুই ঘন্টা ধইরা বইয়া রইছি। উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু ছালেহ মোঃ মুসা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের পিটিয়েছে। কাউন্টার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। আমরা ওই বখাটেদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।






Shares