সরাইলে গর্ভবতী গাভী জবাই করে মাংশ বিক্রি
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল থেকে::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চার মাসের গর্ভবতী একটি গাভী জবাই করে মাংশ বিক্রি করার সময় কাইয়ুম (৩০) নামের এক কসাইকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে লোকজন। পাশের গ্রামের এক বিয়ে বাড়িতে বেশ কিছু মাংস বিক্রি করে দেয়। অবশিষ্ট মাংশ বিক্রির সময় জনরোষে পড়ে ওই কসাই। প্রাণী সম্পদ দফতর বলছে এটা দন্ডনীয় অপরাধ। গতকাল সকাল ছয়টায় কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, কালিকচ্ছের ধর্মতীর্থ গ্রামের বাসিন্ধা পেশাদার কসাই হামিদ মিয়ার (৭৩) ছেলে উত্তরাধিকারী সূত্রে কসাই কাইয়ুম মিয়া। সে দীর্ঘদিন ধরে কালিকচ্ছ বাজারে গরু জবাই করে মাংশ বিক্রি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপকর্মের অভিযোগ। গতকাল ভোরে লোকজন বাজারে আসার আগেই কাইয়ুম একটি গর্ভবতী গাভী জবাই করে। এক পর্যায়ে চার মাস বয়সের অচেতন বাছুরটি কয়েকজন লোকের দৃষ্টিতে আসে। তারা কাইয়ুমকে এ মাংশ বিক্রি করতে বাঁধা দেয়। কসাই বাছুরটি বাজারের পাশের খালে নিয়ে ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর একটি কুকুর ওই বাছুরটিকে এনে কসাই কাইয়ুমের দোকানের সামনে ফেলে। তখন বাজারে অনেক ক্রেতা। পাশের এক গ্রামের বিয়ে বাড়িতে কিছু মাংশ বিক্রি করে দেয় কাইয়ুম। অবশিষ্ট মাংশ গুলো বিক্রির সময় ক্রেতাদের রোষানলে পড়ে কাইয়ুম। পরে সে মাংশ গুলো কাপড় ও ছালা দিয়ে বেঁধে দ্রুত বাজার থেকে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ওই মাংশ গুলো বিক্রি করে কসাই কাইয়ুম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, কসাই কাইয়ুম সহ আরো কিছু লোক এখানে প্রায়ই অসুস্থ্য ও চুরির গরু জবাই করে মাংশ বিক্রি করে থাকে। সরাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, গর্ভবতী গাভী জবাই করা আইনত: দন্ডনীয় অপরাধ। এমন কাজে বাছুরটিকে হত্যা করা হয়। আমরা এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। অভিযুক্ত কসাই কাইয়ুম গর্ভবতী গাভী জবাই করার কথা স্বীকার করে বলেন, পঁচিশ হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি ক্রয় করেছি। গাভীর পেটে বাছুর আছে আমার জানা ছিল না।