সরাইলে আঘাতের ছয় দিন পর রোগীর মৃর্ত্যু,পরিবারের দাবী হত্যা



সরাইল প্রতিনিধি ॥ সরাইলে সংঘর্ষে আহত হওয়ার ছয় দিন পর অসুস্থ্য অবস্থায় মৃর্ত্যু বরন করেছেন ছয় সন্তানের জনক জজ মিয়া (৪৫)। গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ধামাউড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন তিনি। তার পরিবারের দাবী এটা হত্যা। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে গত ৩০ মার্চ শুক্রবার মেয়ে সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে সফর উদ্দিন ও আবদুল্লার লোকজনের সাথে প্রতিবেশী রায়হান মিয়ার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মধু মিয়ার পুত্র ছয় সন্তানের জনক জজ মিয়া (৪৫) বাম পায়ের উরুতে টেডা বিদ্ধ হয়। তাকে কিশোরগঞ্জ জেলার ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে গত ৬ এপ্রিল শুক্রবার তিনি বাড়িতে চলে আসেন। গতকাল মঙ্গলবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। গত সোমবার দিবাগত রাত ২টায় তিনি নিজের বসত ঘরে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর জেনে রাতেই প্রতিপক্ষের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। জজ মিয়ার পরিবারের লোকজনের দাবী এটি একটি হত্যা কান্ড। কারন বল্লমের আঘাতের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে আসার পর ও জজ মিয়া দাঁড়াতে বা বসতে পারতো না। তার শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না। ক্ষতস্থান দিয়ে রক্তক্ষরন হতো ও সবসময় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করতেন। সাবেক ইউ পি সদস্য মোঃ মফিজ মিয়া বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিস্পত্তির জন্য গত ৪ এপ্রিল বুধবার এলাকার গণ্যমান্য লোকজন একটি সালিশ সভা করেছিলেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। |
« ৫০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ৪ গ্রেফতার (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) সরাইলে গলায় ফাঁস দিয়ে অন্তঃসত্তা গৃহবধুর আত্মহত্যা »