সরাইলে সংঘর্ষে শিশু খুন, আহত- ২০
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জায়গা সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে সংঘর্ষে এক কন্যা শিশু নিহত হয়েছে। নারী, পুরুষ ও শিশু সহ আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে জুনায়েদ ও গেদু মিয়ার ছেলে জিলু মিয়ার মধ্যে বসত বাড়ির জায়গা ক্রয় বিক্রয়কে কেন্দ্র করে গত ৩/৪ বছর যাবৎ বিরুধ চলছিল। গতকাল সকালে জিলু মিয়া বিরুধপূর্ণ ওই জায়গায় ঘর নির্মান করতে গেলে জুনায়েদের লোকজন বাঁধা দেয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বাহির থেকে বল্লম দিয়ে উপোর্যুপরি আঘাত করলে ঘরের ভেতরে থাকা বকুল মিয়ার ঘুমন্ত শিশু কন্যা ফিরোজা (০১) বল্লম বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। দুই ঘন্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে নারী, পুরুষ ও শিশু সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন লোক আহত হয়েছে। বেশ কিছু ঘর ভাঙচুর হয়। আহতদের মধ্যে ৫ জন সরাইল হাসপাতালে ও বাকীরা পুলিশি গ্রেপ্তারের ভয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় জিলু মিয়া ও তার লোকজন ঘরে তালা দিয়ে ঘা ঢাকা দিয়েছে। বকুল মিয়ার তিন সন্তান। একমাত্র ছেলে সুলতান মিয়া (০৮), কন্যা ফেরদৌসা(০৫) ও সর্ব কনিষ্ঠ ছিল শিশু কন্যা ফিরোজা বেগম (০১)। আদরের সর্ব কনিষ্ঠ শিশু সন্তানকে হারিয়ে মা আবেদা খাতুন এখন পাগল প্রায়। শিশুটির মা আবেদা বেগম এখন সরাইল হাসপাতালের বিছানায় সন্তান হারানোর বেদনায় ছটফট করছেন। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা বকুল মিয়া। নিহত শিশুর দাদা ফালান আলী বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, শিশুটির লাশ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো গ্রাম পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।