Main Menu

১৪৭ বছরের পূরাতন মাঠ রক্ষার দাবীতে সরাইলে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরইল ॥  ১৪৭ বছরের পূরাতন সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের গোলবারের খুঁটি রাতের অন্ধকারে কেটে ফেলেছে। কালের স্বাক্ষী শতবর্ষী ২টি দেবতারু গাছ কাটার পক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেছে স্থানীয় লোকজন। ঐতিহাসিক এ মাঠের সৌন্দর্য্য রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের নেতৃত্বে সাধারণ লোকজন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অন্নদা স্কুলের সামনে ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নাগরিক সমাজ, ক্রীড়া সংস্থা ও খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় সুশিল সমাজের লোকজন অংশ গ্রহন করেন। পরে তারা সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তাদের দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান করেছেন।

স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার অন্নদা প্রসাদ রায় বিদ্যালয়সহ খেলার মাঠ স্থাপন করেন। শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও শরীর চর্চার বিষয়টি মাথায় রেখেই মূল নকশা করা হয়েছিল। যুগযুগ ধরে মূল লক্ষ্য খেলাধূলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা কর্মকান্ড চলে আসছে এ মাঠে। এ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবল টুর্নামেন্ট, ভোরবেলা লোকজনের শরীরচর্চা, জাতীয় দিবস উৎযাপন, রাজনৈতিক সভা, বার্ষিক ১০দিন ব্যাপি তফসির মাহফিল, ঈদের জামাত, জানাযার নামাজ সহ সরকরি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ড হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। উপজেলা সদরে একমাত্র মাঠ এটি।

সম্প্রতি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৩৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রস্থ ৩০টি স্মার্টকক্ষ বিশিষ্ট একটি ৬তলা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে যথেষ্ট পরিমান জায়গা রয়েছে। সৌন্দর্য্য ও মাঠকে কবর দিয়ে পূর্বদিকে ভবন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। শতাধিক বছরের পূরাতন সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী দেবদারু গাছ ২টিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মাঠের পূর্ব পাশে ভবন নির্মাণ সরাইলের মানুষ কখনো মেনে নিবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুল ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি এ এস এম মোসা বলেন, আমি এখনো (গতকাল দুপুর ১টা ৩৯ মিনিট) স্মারকলিপি হাতে পাইনি। এটা সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ। আমি স্থানীয় লোকজনের দাবী সম্বলিত স্মারকলিপিটি শিক্ষা প্রকৌশলীর দফতরে পাঠিয়ে দিব।






Shares