সরাইল ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন,অতিষ্ঠ জনজীবন



মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল : শুধু সদর ছাড়া টানা ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন ছিল গোটা সরাইল। গত রোববার (১৮আগষ্ট) বেলা ২টা থেকে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন কষ্টে হাফিয়ে ওঠেছে মানুষ। পুরো সময় বন্ধ ছিল এখানকার ছোটখাট মিল ফ্যাক্টরি। এমন বিপর্যয়ের সময় অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. হেলাল। তবে দিনভর পরিশ্রম করে ১২ ঘন্টা পর সমস্যা করেছেন আরেক উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. সুমন মিয়া। উনি ছাড়া কোন উপ-সহকারি প্রকৌশলীই থাকেন না সরাইলে।
স্থানীয় পিডিবি অফিস ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, গত রোববার (১৮আগষ্ট) সকাল থেকেই ছিল রোদ্রজ্জ্বোল আবহাওয়া। ভাদ্র মাসের ভ্যাঁপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছিল জনজীবন। ঠিক সেই সময়ে বেলা ২টার দিকে গোটা সরাইলের বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের ও গ্রাম এলাকার গ্রীলের দরজা জানালা সহ ভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরীর মিল কারখানা। সময় যতই অগ্রসর হতে ততই বাড়তে থাকে মানুষের দূর্ভোগ। প্রচন্ড তাপদাহে ছটফট করতে থাকেন হাসপাতালের রোগীরা। রাত ৮টার দিকে কালিকচ্ছ দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্ধা সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান বলেন, দুপুর ১টা থেকে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাত পর্যন্ত না আসায় খুবই কষ্টে পড়ে যায়। আমিসহ বাসায় ২-৩ জন রোগী। বাধ্য হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর মুঠোফোনে (০১৮৪১-১২১২৪৬) ২-৩ বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) নওয়াজ আহমেদ খান বলেন, ওইদিন আমি ষ্টেশনে ছিলাম না। কুট্রাপাড়া এলাকায় দুটি লাইনে সমস্যা হয়েছিল। বড় ধরনের না হলেও গাছের ডালপালার ভেতরে হওয়ায় সমস্যা বের করতে অনেক সময় লেগেছে।