Main Menu

সরাইলে সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাপ্তান মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মহল বিশেষের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল করেছে স্থানীয় লোকজন।

বুধবার সকালে অরুয়াইল বাজারে ৩ শতাধিক লোকের অংশ গ্রহনে এ প্রতিবাদ মিছিল ও পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল শেষে ইউপি আ’লীগের সভাপতি মো. আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. আমীন খান, ইউপি আ’লীগের সম্পাদক গাজী মো. শফিক, ইউপি যুবলীগের সভাপতি মো. বোরহান মিয়া ও সম্পাদক মো. মাসুক মিয়া প্রমূখ।

বক্তরা বলেন, আসাদ উল্লাহ বিএনপি’র এজেন্ট। সে সরকারি জায়গা বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। অরুয়াইলে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে সে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে নিজেকে কৌশলে আত্মগোপন করে তার মেয়ে মোমেনা বেগমকে (২৫) বাদী করে আদালতে একটি বানোয়াট অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি অপহরণ হননি। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাপ্তানকে হয়রানি করে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাই আসাদ উল্লাহর মূল লক্ষ্য। আমরা এহেন নেক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। দ্রুত উদ্যেশ্য প্রণোদিত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। আ’লীগ নেতা গাজী মো. শফিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাপ্তান মিয়া বলেন, সরকারি জায়গা লীজ এনে ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনায় অরুয়াইলের সাইদ মিয়া ও ষোলাকান্দি গ্রামের হরিপদের সাথে দাঙ্গা ফ্যাসাদ এবং মামলা মোকদ্দমা চলছে আসাদ উল্লাহর। আমরা মাঝে মধ্যে এ বিষয়ের সালিস সভায় যেতাম। এজন্য আসাদ উল্লাহ সাইদ মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ২টি মামলায় আমাদের আসামী করেছে। ভুল স্বীকার করে ১টি মামলা প্রত্যাহারও করেছে। আবার গত ৫ আগষ্ট আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা জিডি ও (নং-২০২) করেছে। সর্বশেষ আবার মেয়েকে দিয়ে একটি সাজানো অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। সে এলাকায় হিন্দু মুসলামানের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অরুয়াইল ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারি পরিদর্শক (এস আই) মো. জাকির হোসেন খন্দকার বলেন, তদন্তে প্রাথমিক ভাবে অপহরণের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এজহারে উল্লেখিত স্থানে ও আশপাশের কোন লোক এমন ঘটনা দেখেছেন বা শুনেছেন এমনটি বলেননি।






Shares