সরাইলে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
সরাইল প্রতিনিধি: সরাইলের চুন্টা এসি একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনিত করার ঘটনায় সভাপতি ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট মহল বিশেষের ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সভাপতি শেখ মো. হাবিবুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান নান্নু।
গতকাল সোমবার সকালে সরাইল প্রেসক্লাবে বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, গত ৭ জুন ২০১৮ খ্রি. স্কুল ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রথম সভায় অধিকাংশ সদস্যের মতামতে মো. মর্তুজ আলীকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনিত করা হয়। এর ২দিন পর চুন্টা গ্রামের বাসিন্ধা মাসুদুর রহমানের ছোট ভাই রহিম উদ্দিন ও স্বজন মনিরুল ইসলামকে দিয়ে ইউএনও’র কাছে সাজানো অভিযোগ দায়ের করেন। মাসুদুর রহমান আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার ঘোষণা দিয়েছেন। তার আহবানে সরাসরি সমর্থন না করায় আমার উপর ক্ষীপ্ত হন। আমার মান সম্মান ও বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নানা ফন্দি আটতে থাকেন। এ লক্ষ্যে মাসুদ নানা কূট কৌশল ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে ক্ষেয় করার চেষ্টায় লিপ্ত হন। আমি উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম। আমার পিতা শেখ আবদুর রহমান স্বাধীনতার পক্ষে আনসার ভিডিপি’র উচ্চ পর্যায়ের একজন সরকারী চাকুরিজীবি ছিলেন। ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের একজন ক্রীড়াবিদও। তিনি এলাকায় সর্ব মহলের কাছে সৎ যোগ্য ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি হিসাবে সমাদৃত। উনাকে রাজাকার আখ্যায়িত করে গোটা এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। বর্তমানে আমাকে ভিন্নভাবে হুমকি ধামকিও দেয়া হচ্ছে। সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনি’ ও ‘শেখ রাসেল স্মারক গ্রন্থ’ বিদ্যালয়ের নিয়ে আসলে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মাসুদ। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত স্কুলে অবস্থান করছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাত জাহান। তিনি বিদ্যালয়ে ওইদিন কেউ বই নিয়ে যায়নি ও সভাপতিও ছিলেন না মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্রও দিয়েছেন। স্কুল ও আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছেন। চুন্টা এসি একাডেমিতে নিয়মিত জাতীয় ও সরকার নির্দের্শিত দিবস গুলি পালন করে আসছি। বিদ্যালয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র (১-১৫ খন্ড), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কিত অনেক বই সংরক্ষিত আছে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অভিভাবক প্রতিনিধি মো. আসাদ মিয়া, মো. আক্তার মিয়া, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. মর্তুজ আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহিন মিয়া ও মাওলানা আতিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত ব্যক্তি মাসুদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। মনোনয়ন প্রত্যাশার ঘোষণা দেওয়ার পরই তারা আমার বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্র করছে। আমার ভাই নয়, পছন্দের লোককে বিদ্যোৎসাহী করার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমি সকল স্কুলে বই বিতরণ করে আসছি। এসব বিষয়ে আমি মামলা করেছি। বাকীটা আদালতের বিষয়।