উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯
সরাইলে বিধিমালা লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র জমা
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া বিধিমালা লঙ্ঘন করেই সরাইলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীসহ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে শতশত লোকের মিছিল, শোডাউন ও শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেছিল সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের চত্বর। ছিল পিকআপ ভ্যান ও রিকশার শোভাযাত্রা। বিধিমালা লঙ্ঘনের মহোৎসব চললেও কর্তৃপক্ষ ছিল একেবারেই নীরব। বিধিমালা লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করলেও ভায়োলেন্স হয়নি বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
সরজমিনে ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, ৫ম ধাপে আগামী ৩১ মার্চ সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল মোতাবেক গতকাল সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। সকাল থেকেই উপজেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা জড়ো হতে থাকে। সকাল ১১টায় আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী মো. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দেড়/ দুই শতাধিক লোকের একটি মিছিল উপজেলা সদরে প্রবেশ করে। সেই সাথে ছিল পিকআপ ভ্যান ও রিকশার শোভাযাত্রা। মিছিল শোভাযাত্রা শ্লোগান সহকারে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে সহকারি রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এক সময় সেখানেও চলে শ্লোগান। সাড়ে ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান লস্করের নেতৃত্বে ২-৩ শতাধিক লোক নিয়ে শোডাউন ও মিছিল সহকারে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে আসেন। তারাও ঘুরে ফিরে উপজেলা চত্বরে মিছিল করেন। যাহা নির্বাচন কমিশনের ১১নং বিধিমালার (১) ও (২) ধারা ‘উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬’ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী মো. শফিকুর রহমান বলেন, আমি শুধু মাক্কি (উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহবায়ক) কাকাকে নিয়ে বাজার এলাকাটা ঘুরেছি। আসলে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান লস্কর (উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক) বলেন, আমি উপজেলা কম্পাউন্ডের ভিতরে মিছিল করিনি। এ বিষয়ে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও এ.এস.এম মোসা বলেন, মিছিল ও শ্লোগান নিষেধ। প্রার্থীরা ৫ জনের বেশী লোক নিয়ে আসতে পারবেন না। এ বিধি তারা মানছেন না। তবে এতে করে কোন ধরনের ভায়োলেন্স হচ্ছে না।