Main Menu

সরাইলে পৃথক সংঘর্ষে আহত-২০ আটত-৫

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥  সরাইল পৃথক দুটি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন লোক আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়াইল গ্রামে ও জয়ধরকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ নিয়স্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। আটক করেছেন ৫ ব্যক্তিকে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের হিরা মাষ্টারের ছেলে আবু কালাম মাষ্টার ও তাদের প্রতিবেশী হাবিবুর রহমানের (৫৫) পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গতকাল হাবিবুর রহমানদের বাড়িতে ইফতার মাহফিল ছিল। এ উপলক্ষ্যে তারা বাড়িতে প্যান্ডেল তৈরীর কাজ করছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু কালামের নেতৃত্বে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই প্যান্ডেল ভাংচুর করে। সেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ ঘটনায় মন্নাফ ও হাবিবুরের স্বজন নজরুল হক (৫০), সোবহান মিয়া (৩৫), নুরুল ইসলাম (৭০), হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জিয়াউর রহমান (৪০) আহত হয়েছেন। তারা সকলেই সরাইল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মহিলা ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) রোকেয়া বেগম বলেন, তারা দা দিয়ে কূপিয়ে আমার ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। এ ঘটনায় পুলিশ শিক্ষক আবুল কালামকে আটক করেছেন।

একইদিন সকাল বেলা উপজেলার জয়ধরকান্দি গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রুক্কু মিয়া ও মুর্তুজ আলীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক ঘন্টা স্থায়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন লোক আহত হয়েছে। আহতরা নাসিরনগর হাসপাতাল সহ আশপাশের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া আবুল কালামকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, জয়ধরকান্দি থেকে ৪ জনকে আটক করেছি। আর উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত মুছলেকা নিয়েছি।






Shares