সরাইলে পরীক্ষার ফি-এর জন্য পরীক্ষার্থীকে বের করে দিলেন শিক্ষক!
মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ পরীক্ষার ফি বকেয়া থাকায় সাজিদুর রহমান নামের এক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিলেন শিক্ষক। গতকাল সোমবার উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিঁতারা আলহাজ্জ্ব নূরুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ। সাজিদ উপবৃত্তিও পেয়ে আসছে।
ছাত্র ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে চলছে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। গতকাল ছিল অভিভাবক প্রতিনিধি মো. মশিউর রহমানের ছেলে সাজিদের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। পরীক্ষার ফি বকেয়া থাকার দায়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্র থেকে দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক সাজিদকে বের করে দেন। লজ্জায় মলিন মুখে বাড়ি চলে যায় সাজিদ। বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
সাজিদের পিতা সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে (হাটখোলা) মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. মশিউর রহমান বলেন, আমার ছেলেটা উপবৃত্তি পায়। এতদিন বেতন দিতে হত না। কয়েকদিন আগে শিক্ষকরা বলেছে উপবৃত্তির টাকা নাকি রোহিঙ্গাদের ফান্ডে দিতে হয়েছে। গরীব মেধাবীদের টাকা ওই ফান্ডে কেন? কিছূই বুঝলাম না। সকালে টাকা দিয়ে আসছিলাম। ভুলে হয়ত ছেলেটা নেয়নি। আমি কমিটিতেও আছি। ফি-এর জন্য আমার ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দিতে হবে! তাহলে আমার চেয়ে দরিদ্র অসহায় লোকদের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষ কেমন আচরণ করেন? ছেলেটা এত গুলো সহপাটির সামনে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এ বিদ্যালয়ে অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে বেতন ও পরীক্ষার ফি বেশী নিয়ে থাকেন। ৪-৫ গ্রামের মধ্যে মাত্র একটি বিদ্যালয় হওয়ায় তারা যা মন চায়, তাই করেন। এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে (০১৭১৮-৪৫৮৪৯৫) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান বলেন, বকেয়া পরীক্ষার ফি-এর জন্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার কোন বিধান নেই। নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত বলেন, বলেন কি? এটা কোন ভাবেই, কখনো পারে না।