Main Menu

সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ,সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা দুই ঘন্টা পর পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে আটটি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামে গ্রামীণ সড়কের একটি পাকা ড্রেন নির্মাণ নিয়ে কুট্টাপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল মিয়ার (৫৫) সঙ্গে একই গ্রামের মিজান মিয়ার (৪৫) বাক্বিত-ার ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পর উভয় পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে গ্রামের মাঝখানের গ্রামীণ সড়কে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আধা ঘন্টা পর গ্রামবাসীর সহায়তায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আসে। সকাল ১০ টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই ঘন্টা পর পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেঠা করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মিজান মিয়ার পক্ষের সাইকুল মিয়াকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জয়নাল মিয়াকে (৪২) জেলা সদর হাসপাতালে এবং মিজান মিয়ার অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী পুতুল বেগমকে (৩২) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজিব মিয়া (২০),রবিউল আলম (২৪),আলী মিয়া (৩২) ও ফারিয়া বেগমকে (৩০) সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরকে জেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রকিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন দুলাল মিয়ার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের লোকজন মিজান মিয়ার পক্ষের আবদুল জলিল, জুরু মিয়া, মানিক মিয়া, আল আমীন, রতন মিয়া,মফিজ মিয়া, সিফত আলী ও আবদুল হাকিম মিয়ার বসত বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
সরাইল থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।






Shares