সরাইলের রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
সরাইল প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। ওই সংঘর্ষেনারী পুরুষ সহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক । সোমবার বিকেলে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলাবাড়ি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিপুল পরিমান টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, গত রোববার সকালে গ্রামের ফজুর বাড়িরমুসা মিয়ার ভাগিনা কাউছার (১৫) চুল কেটে রং দেয়। তার চুলে রং দেওয়া নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে বাপ্পির বাড়ির কলম ধরের ছেলে জিয়াউর রহমান (১৪)। এ নিয়ে তারা দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে পরিস্থিতি শান্ত করে। সোমবার সকালে গ্রামের সর্দার মাতব্বরা বসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে তাদের মিলিয়ে দেন। বিকেল ৩টায় দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চলে হামলা পাল্টা হামলা। এক সময় বিবদমান দু’পক্ষের সাথে গ্রামের কয়েক গোষ্ঠীর লোক সংঘর্ষে যোগদান করে। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো শোলাবাড়ি গ্রাম। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে খন্ড যুদ্ধ। এসআই মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিপুল পরিমান টিয়ারসেল ও কয়েকটি রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। ৩ ঘন্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ আহত হয়েছে। আহতদের জেলা সদর, সরাইল, হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আরশাদ বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।