বাবা’র বড় সন্তান পৈত্রিক সম্পক্তি থেকে বঞ্চিত
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা গ্রামের আবুল কাশেম(লাল চান) মিয়ার বড় ছেলে আলাল মিয়া কে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন তার সৎ মা ও ভাই – বোনেরা।
বর্তমানে আলাল মিয়া’কে তারা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন ও বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি দিতে শুরু করে। এ বিষয়ে গ্রামে একাধিক সালিশও হয়েছে।
সরজমিন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আলাল মিয়া ‘কে সকল সম্পক্তি থেকে বঞ্চিত করে তার সৎ মা ও ভাই- বোনেরা। তাকে না জানিয়ে তাদের নামে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। যা থেকে আলাল মিয়া কে বঞ্চিত করেছেন। তারা হলেন আবুল কাশেমের সংসারের দ্বিতীয় স্ত্রী সাহানারা বেগম (সানু) মো. মোকাদ্দেস (৪০) জোসনা বেগম (৩৫) ও হোসনা বেগম।
আলাল মিয়া বলেন, আমার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যান। তারপর থেকে তারা আমার উপর বিভিন্নভাবে ঝগড়া করার চেষ্টা করে। আমি বাবার বড় সন্তান আমার মা থাকা অবস্থায় বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন, সাহানারা বেগমকে। সে সংসারে মো. মোকাদ্দেস জোসনা বেগম ও হোসনা বেগম নামে এক ভাই দুই বোন জন্ম নেয়।
আমার সৎ মা ও ভাই বোনেরা মিলিত হয়ে স্থানীয় ভুমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজগে বাবার সকল সম্পক্তি থেকে, আমাকে বঞ্চিত রেখে তারা তাদের নামে খারিজ খতিয়ান ভূক্ত করে। তার পর তারা বাবার সে কৃষি জমি বিভিন্ন ভাবে ছয় বার একা দিক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে। আমি তাদের সে বিক্রি করা দলিল সংগ্রহ করেছি। আমি বাড়ির পূর্ব পাশে ৫০ হাজার টাকা ব্যায় করে মাটি ভরাট করে একটি দোকান নির্মান করি সে জায়গাটি তারা জোর করে দখল করে নেয়। তারা জেলা শহর থেকে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে আমার নিজ বাড়িতে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এলাকাবাসির চেষ্টায় প্রানে বেচে যায়। তাদের ভয়ে আমি দিনরাত চলাচল করতে পারি না। এখনো তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দেয়।
এখন আমাদের বসত বাড়িতে ১৫শতক জায়গা ছাড়া আর কিছুই নেয়। আমি পৈত্রিক সম্পক্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় বি এস খতিয়ান চ্যালেঞ্জ করে আদালতে অভিযোগ করি। আদালতে মামলা চলমান। এ দিকে তারা আরো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে বাড়ি বিক্রি করার চেষ্টা করছে।
এদিকে গ্রাম্য সালিসের পরেও সৎ মা মোকাদ্দস মিয়া, জোসনা বেগম ও হোসনা বেগম, আলাল মিয়া কে জায়গা দিতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মোকাদ্দস মিয়ার কাছে কিছু জানতে চাইলে সে প্রকাশ্যে রাগান্বিত হয়ে এলাকাবাসি’র ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, মামলা যখন করেছো জায়গা আদালত থেকে নিয়। এ কথা বলে এখান থেকে চলে যায়।