প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১৩জুন বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত “সরাইলে চুন্টা এ, সি, একাডেমীতে বিদ্যুৎসাহী নির্বাচনে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ । গত ১২জুন একই শিরোনামে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগকারীর আবেদন গত ১ জুলাই একই পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর বই গ্রহণ না করায় । চুন্টা এ,সি, হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ। শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
অভিযোগে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের অভিযুক্ত পাক বাহিনীর সহযোগী স্থানীয় এলাকার রাজাকার শেখ আব্দুর রহমানের পুত্র। হিসেবে যে অভিযোগটি করেছে তাহা সম্পূর্ণ উদ্ভট, ভিত্তিহীন, মনগড়া, কাল্পনিক, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্র। আমার পিতা জনাব আলহাজ শেখ মোঃ আব্দুর রহমান ছাত্র জীবনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন এবং চাকুরী জীবনে দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর চাকুরী কালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ১৯৯৮ সালে জেলা অ্যাড্জুটেন্ট আনসার/ভিডিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এ যাবৎ পর্যন্ত আনসার/ভিডিপির বাৎসরিক জাতীয় সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে প্রতিবছরই অংশগ্রহণ করে আসছে। আমি তার বড় ছেলে শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে চুন্টা এ.সি. একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও চুন্টা ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকার স্বার্থন্বেষী একটি কুচক্রী মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আমি ও আমার পরিবারের সুনাম ও মান মর্যাদা নষ্ঠ করার জন্য যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে আমি এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
প্রসঙ্গত আমার পিতা জনাব আলহাজ শেখ আব্দুর রহমান সম্পর্কে সজল চন্দ্র সেন স্বাক্ষরিত অভিযোগের বরাদ দিয়ে লিখিত বিষয়ের প্রেক্ষিতে সজল চন্দ্র সেন তার লিখিত বক্তব্যে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন জনাব শেখ আব্দুর রহমান সম্পর্কে আমি কোথাও কোন হেয় প্রতিপূর্ণ অভিযোগ করিনি। তিনি একজন সৎজন ব্যক্তি ও ভদ্র লোক। বিগত দিনে তিনি আমার সকল বিপদ-আপদে সহযোগিতা করেছেন।