বঙ্গমাতা শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে পৌর মেয়র নায়ার কবির
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী, মহীয়সী নারী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী “জাতীয় শোক দিবস” পালন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ প্রণীত মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলালীগের ব্যবস্থাপনায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা’র সভাপতি ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি রাবেয়া বেগম। এ সময় জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলালীগের উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র নায়ার কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর সফলতা ও বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য অবদান রয়েছে। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী, মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, তেমন বঙ্গমাতা শেখ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদানের কারণেই দুজন বিশ্ব নেতা সৃষ্টি হয়েছেন। যা বিশ্বে এক বিরল ঘটনা। এই দু’বিশ্ব নেতার একজন হলেন জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যজন হলেন বিশ্বনন্দিত নেতা, বিরল নেতৃত্বের অধিকারী, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধুকে আজীবন অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে রাজনৈতিক দুর্দিনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সৃষ্টিতে বিরাট অবদান রেখেছে। শিক্ষার প্রতিও বঙ্গমাতা ছিলেন অত্যন্ত অনুরাগী। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে অবস্থান করতেন ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুকে লেখার জন্য উৎসাহ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।