মেড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা
বিশেষ প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কোটি টাকা মূল্যের জায়গায় নির্মাণাধীন পাকা ভবন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় একটি পক্ষ এ জায়গাটি দখলের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে পূর্ব মেড্ডা কাল ভৈরব মন্দির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতংকে আছেন ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।
ব্যবসায়ী মলাই মিয়া জানান, পূর্ব মেড্ডা এলাকার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মেড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী মলাই মিয়া মেরুড়া মৌজার ১৭৭৪ এসএ দাগে ২২ শতক জায়গা ১৯৯৪ সালে জনৈক শাহজাহান মিয়া ও আবুল হাসেমের কাছ থেকে কিনেন। কয়েক বছর আগে তিনি এ জায়গায় মাটি ভরাট করতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী রমজানের নেতৃত্বে একদল লোক তার কাছে চাঁদা দাবি করে। সন্ত্রাসী রমজান ওই জায়গার পাশে সরকারি বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কম্পাউন্ডের বস্তিতে বসবাসকারী রৌশন আলীর ছেলে। সে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে জায়গাটি দখলের পায়তারা শুরু করে।
চাঁদা দাবির ঘটনার পর তিনি সদর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা বেশ কয়েকবার সালিশ করে আমার জায়গা সুনিদিষ্ট করে খুটি বসিয়ে দেন। এরপর গত ২২ জুন রাতে তারা ফের হামলা করে দুজন পাহারাদারকে মারধর করে ও দেয়াল ভাংচুর করে।এ ঘটনায়ও সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার প্রতিশোধ নিতে রমজান ও তার সহযোগীরা গত মাসের ৩০ জুন মলাই মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত সদর থানার এসআই সোহাগ রানাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিলে তিনি মামলায় আনিত অভিযোগ মিথ্যা ,ভিত্তিহীন বলে গত ৯ জুলাই অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দেন।
ব্যবসায়ী মলাই মিয়া আরও জানান, তার জায়গার চারিদিকে সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে এর ভেতরে ৫ কক্ষের একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে রমজানের নেতৃত্বে ১২/১৪ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে চারদিকের প্রাচীরসহ নির্মাণাধীন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। এরপর রাতেই সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশার জানান, এ জায়গার মালিক মলাই মিয়া হিসাবেই আমরা জানি।
সদর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাতেই দেয়াল ভাংচুরের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসআই নারায়ন চন্দ্র দাসকে পাঠাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রমজান মিয়া বলেন, মলাই মিয়ার জায়গার দেয়াল ঘেষে বসবাস করলেও ভাংচুরের ঘটনার সাথে আমি যুক্ত নই।কারা ভেঙ্গেছে সেটাও আমরা জানি না ।