Main Menu

বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না: জামায়াতের আমির

+100%-

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের বিদেশে বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভুত্ববাদ মেনে নেওয়া হবে না। কেউ যদি প্রভুত্ব করতে আসে, তাহলে জাতি তাদের উচিত জবাব দেবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে টেংকের পাড় মাঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলনে তিনি।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার পাবে। সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অহিংসামুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।তিনি আরও বলেন, এমন একটি সমাজ গড়া হবে, যেখানে আদালত প্রাঙ্গণে কোনো বিচারপ্রার্থীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না। বিচারক দুর্নীতিমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন।

গত ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হলেও বিগত সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা জাতির ঘাড়ে বসে আছে। এ সিন্ডিকেট না ভাঙলে দেশের মানুষ আরও নির্যাতিত হবে। বিগত সরকার জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে গণআন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে চেয়েছিল। তবে জামায়াত প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে দেশপ্রেমী এবং আলেম ওলামাদের যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে কিছুদিন আগে সরকারি আশ্রয়ন তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় তৈরি করার আগেই এটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এটি ছিল জনগণের চোখে ধূলা দেওয়ার শামিল। স্বস্তা জনপ্রিয়তার ফাঁদ দিয়ে নিজেদের ভাগ্য গড়ার শামিল।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, অনেক দুঃখ-বেদনা আমাদের অন্তরে আছে। আমাদের কেন্দ্রীয় অফিসসহ সারাদেশে অফিস সিলগালা করে রাখা হয়েছে। আমরা এক মুহূর্তের জন্যও অফিসে ঢুকতে পারিনি। অন্যায়ভাবে আমাদের নিবন্ধন বাতিল এবং প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা সরকার গণ আন্দোলনের মুখে জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য আমাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যকোনো দলের ওপর এমন যন্ত্রণা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছিলাম এতো এতো জুলুমের প্রতিশোধ জামায়াত নেবে না। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচার সরকারের কোনো দোসর যেন রাষ্ট্রের কোনো স্তরে না থাকে। তারা থাকলে এ দেশ ও সরকারকে ব্যর্থ করে দেবে। জনগণের বিপ্লবকে ব্যর্থ করে জনগণের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাবে।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ মোবারক হোসনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার, কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাবেক আমির সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নায়েবে আমির কাজী মো. ইয়াকুব আলী এবং জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।






Shares