দুবাই থেকে সোনা গলিয়ে অন্তর্বাসে আনার সময় সিলেটে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সারোয়ার



সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে অভিনব পন্থায় সোনা চোরাচালানের দায়ে দুবাই ফেরত সারোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ওই যাত্রীর পরনের জ্যাকেট ও অন্তর্বাসে সোনা গলিয়ে লেপ্টানো ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আবুধাবি থেকে ছেড়ে আসা বিমানের ফ্লাইটে (বিজি-২২৮) করে সারোয়ার রহমান নামের ওই যাত্রী সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আসেন। পরে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করার জন্য একটি কক্ষে নিয়ে যান কাস্টমস কর্মকর্তারা। আটক সারোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মোমিন। তিনি জানান, গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তার কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে সোনা গলিয়ে গেঞ্জি টাইপ জ্যাকেট ও অন্তর্বাসে লেপ্টানো, দুটি সোনার বার এবং ১০০ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিমাপের পর বলা যাবে কী পরিমাণ সোনা জ্যাকেট ও অন্তর্বাসে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পরনের জ্যাকেট ও অন্তর্বাসে লেপ্টানো থাকা সোনার পরিমাণ সঙ্গে সঙ্গে জানা সম্ভব হয়নি। এগুলো সোনার দোকানে পাঠানো হয়েছে। গলানোর পর ওজন দিয়ে মূল্য ও কতটুকু সোনা আছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা করবে বিমানবন্দর কাস্টমস।