করোনা সংক্রমণে তিন জনের মৃত্যু, তবুও লকডাউন মানছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ!



তিনজনের মৃত্যু, ৯ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে অনেকটাই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্কও আছে। তবে লকডাউন করা হলেও এলাকার মানুষ যেন সেটা মানছেনই না।
বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার চিত্র দেখে বুঝার উপায়ই নেই যে লকডাউন চলছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে লকডাউন তো দূরের কথা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মুখোশ পড়াসহ সাধারন নিয়মই যেন তাঁরা মানছেন না।
এ প্রসঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু সাঈদ বলেছেন, ‘জনসাধারণকে বুঝতে হবে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজমান। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন মানুষকে ঘরে রাখার জন্য। নিজেদের সুরক্ষার জন্য্য সবাইকে নিজ থেকেই এখন ঘরে চলে যাওয়া উচিত।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন মানার আহবানও জানানো হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়া ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা কিছু ছবি থেকে দেখা যায়, সকাল নয়টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌর এলাকার টি.এ রোড, মঠেরগোড়া, কুমারশীল মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কে সাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল। অন্যসব দিনের মতোই ওই সড়কগুলো দিয়ে রিকশা ও মোটসাইকেল এবং সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। বিভিন্নস্থানে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকলেও জনসাধারণের চলাচল বন্ধে খুব একটা তৎপরতা নেই।