করোনা ভাইরাস:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কয়েকটি এলাকা ‘লক ডাউন’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া।
তিনি জানান, লকডাউনের কারণে ওই তিন এলাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত এ লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে শনিবার দুপুরে বৈঠকে বসে সদর উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি। ওই বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাইকপাড়া, কালাইশ্রীপাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া ও ৮নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকাকে ‘সংক্রমিত ‘ চিহ্নিত করে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রস্তাব আকারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি। পরবর্তীতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লকডাউনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে ওই তিনটি এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদর উপজেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “লকডাউনভুক্ত এলাকগুলোতে রাত ১২টা থেকে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টিম থাকবে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টহলও থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম লকডাউনভুক্ত এলাকাগুলোতে কারো কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিলে তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। যদি বাড়ির ভেতরে যেতে হয় তাহলে ভেতরে গিয়েও তারা চিকিৎসা সেবা দেবে। আর কারো বাড়িতে যদি খাবারের সমস্যা হয়, সেটিও আমরা দেখব।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, “করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমেদন নিয়ে লকডাউন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনভুক্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা উল্লেখ থাকবে।”