আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থদাতা মো. কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী জসীম ওয়াহেদ পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
এদিকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে এবং অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের কাজল মিয়া প্রতিপক্ষের ও এলাকার মানুষের চলাচলের রাস্তার ৭০ পয়েন্ট জায়গা দখল করে জনদূর্ভোগ তৈরি করেছে৷ এর ফলে এলাকার একমাত্র কবরস্থান, মসজিদ, মাদরাসার ও স্কুলে শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করতে পারছেন না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় কাজল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে জয়নাল মিয়া ও মাহবুব শরীফসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মিথ্যা মামলা করেন। কাজল মিয়া আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যার হুমকিধামকি দিচ্ছে।
ঘটনাস্থলে গেলে মিজান মিয়া নামের এক এলাকাবাসী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে ছোট থেকে আসা-যাওয়া করতেছি। এখন বাউন্ডারি তুলে রাস্তাটা বন্ধ করে দিছে। বিল্ডিংটা রাস্তার মধ্যে ঢুকাইয়া লাইছে৷ আয়তে যায়তে কষ্ট হয়তেছে৷ মাদরাসার লোক আসতে পারতেছে না। লাশ লইয়া যায়তে পারতেছি না।
এই মামলার মামলার আসামী মাহবুব শরীফ বলেন, কাজল মিয়া আওয়ামী লীগের পাওয়ার দেখাইয়া দুই বছর যাবত রাস্তার উপর বিল্ডিং করে রেখেছে৷ দরবারে রায় হইছে তারপরও কাজল আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে৷ আমরা নাকি ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করি। আমরা সাধারণ মানুষ, গ্রামের সবাই জানে। আর উনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটাইয়া আমাদের উপর অন্যায়-অত্যাচার করতেছে৷ আমরা এগুলো থেকে সাময়িক মুক্তি চাই।
পৈতৃক সূত্রে জায়গার মালিক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, কাজল রাস্তার মধ্যে ওয়াল দিতে গেছে আমি বাধা দিছি। তারপর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোক নিয়ে রাতের মধ্যে ওয়াল তুলে কাজল। জনগণ বাধার পর নিজের ওয়াল নিয়েই ভাংচে৷ এই জায়গা আমাদের ছিল, এখনও আমাদেরই। কাজল জোরপূর্বক ভাবে দখল করে ওয়াল তুলছে৷ এলাকাবাসী চাপে ওয়াল ভাংলেও কাজলের প্রভাব বিস্তার ঠিকই আছে৷
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই মাসুদকে দায়িত্ব দিয়েছি।