Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাফসির মাহফিল কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-২০

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাফসির মাহফিলকে কেন্দ্র করে ওয়াহাবী সমর্থক (কওমী মাদ্রাসাপন্থী) এবং সুন্নী সমর্থক দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে। এ সময় তফসির মাহফিলের জন্য নির্মিত একটি তোরন এবং একটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামে। সংঘর্ষে  উভয়পক্ষের ২০ আহত হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বাসুদেব গ্রামের কওমী মাদ্রাসা পন্থীরা গত ২৪ বছর ধরে গ্রামে তফসির মাহফিলের আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল শনিবারও বাসুদেব গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এলাকাবাসী তিন দিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ জন্য তারা প্রশাসন ও পুলিশের অনুমতি নেয়।
গত শুক্রবার রাতে ঘাটিয়ারা গ্রামের সুন্নীপন্থী আব্দুল্লাহ ক্বারী ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক বাসুদেব ভাতশালা রেলস্টেশন এলাকায় নির্মিত একটি তোরণ বাসুদেব গ্রামের আবুল কাসেম মেম্বারের বাড়ি ও হেলেম মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে আলী জাহানকে-(৫৫) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং আসাদ মিয়াকে-(৬০) আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।

এ ব্যাপারে ঘাটিয়ারা গ্রামের সুন্নী পন্থী জয়নাল মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসুদেব গ্রামের সুন্নীপন্থী ইউনুছ মিয়ার বাড়িতে একটি মাহফিলের আয়োজনে বাঁধা দেওয়ায় ঘাটিয়ারা পূর্ব গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও এক মেম্বারের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

এ ব্যাপারে বাসুদেব ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন শেরশাহ বলেন, তাফসির মাহফিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাসুদেব গ্রামের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তফসির মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কোনপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেন নি।






Shares