আকষ্মিক জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে মোকতাদির চৌধুরী এমপি:সেবা কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ
দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ, ৬টি অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স জব্দ ।
শামীম উন বাছির :: ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন প্রধান মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তিনি আকস্মিকভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালে ঢোকার পথেই তিনি হাসপাতাল অভ্যন্তরে ময়লা আবর্জনা এবং হাসপাতালের এক পাশে ময়লার স্তুপ দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি অবিলম্বে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পরে তিনি হাসপাতালের অভ্যন্তরে পার্কিং করা ৬টি অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স জব্দ করে পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেন।
পরিদর্শনকালে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। চিকিৎসাসেবা নিয়ে রোগীদের কোন সমস্যা আছে কিনা তা তিনি রোগীদের কাছে জানতে চান। এসময় একজন রোগী হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে রক্ত পরীক্ষার জন্য কোন লোক নেই বললে তিনি গিয়ে দেখেন সেখানে টেকনিশিয়ান নেই। এতে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেনকে শোকজ করার জন্য হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। তিনি হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কাছে হাসপাতালের মেশিনপত্র নিয়ে কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চান। এ সময় তিনি বলেন রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে কোন অবহেলা সহ্য করা হবেনা।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোঃ আকবর হোসেন বলেন, হাসপাতাল পরিদর্শনকালে কম্পাউন্ডে ময়লা দেখে এম.পি মহোদয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মূলত ওই ময়লা প্রতিদিন পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়ে যাওয়ার কথা। তারা প্রতিদিন ময়লা আবর্জনা না নেওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। তারপরও আমাদের কোন স্টাফের গাফিলতি থাকলে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে রক্ত পরীক্ষার জন্য কোন লোক নেই। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ডেপুটেশনে আনা টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেনকে এম.পি স্যার তাকে পাননি। তিনি হাসপাতাল চত্বর থেকে ৬টি অবৈধ এ্যাম্বুলেন্স জব্দ করার কথা স্বীকার করে বলেন এ্যাম্বুলেন্সগুলো পুলিশে দেয়া হয়েছে।
পরিদর্শনকালে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও হাসপাতালের চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন ।