শিশুদের সুকুমার বৃত্তির উৎসাহ যোগাতে ঝিলমিলের কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়–মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন
ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ৪ দিন ব্যাপী বর্নাঢ্য আনন্দ উৎসব পালন করেছে ঝিলমিল শিশু কিশোর একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গত ১৫ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৮-১৯ ডিসেম্বর শিশু কিশোর আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সমাপনী দিনে গতকাল সোমবার বিকালে সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এডিটরিয়াল কনসালটেন্ট সানাউল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঝিলমিল উপদেষ্টা কবি আবদুল মান্নান সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান বিশিষ্ট সংস্কৃতি কর্মি, কবি ও সাংবাদিক মনির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগরে সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ফয়সাল উদ্দিন ভূইয়া মন্টি, অনুভূতি ব্যক্ত করেন উদযাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাহিদুল ইসলাম অপু, সদস্য সচিব আশরাফ উদ্দিন ইমন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিনকে ফিলিপাইন সফর করায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঝিলমিল প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও রোকেয়া আমিন অনুসুয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তারঁ বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি শিশুকেই লেখাপাড়ার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কনের প্রভৃতির মত সাংস্কৃতিক সুকুমার বৃত্তি চর্চা করা প্রয়োজন। এতে শিশু মানুষিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে বড় হয়। যা তার কর্মজীবনে সাফল্য বয়ে আনে। তিনি বলেন এখনকার তরুনদের লেখাপাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বা ক্রিড়া ও সেবা মূলক সংগঠনে সম্পৃক্ত থাকা প্রয়োজন। এতে তারা ভবিষত্যে বিফলে যাবে না। এই বিষয়টি লক্ষ রেখে ঝিলমিল একাডমী শিশুদের শিশুদের সুকুমার বৃত্তির উৎসাহ যোগাতে যে উদ্দ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সাফল্য কামনা করে তিনি আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরব। আমাদের অহংকার। দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আগামী দিনের একটি সুখি সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ঝিলমিলের ভবিষ্যত পথ চলায় নিজেদের সার্বিক সহোযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সদস্য, মাজহারুল করিম অভি, জুনয়েদ হোসেন পায়েল, লিটন হোসেন জিহাদ, শ্রাবণ হোসেন জিয়া মোঃ নাজমুল হাসান, আশরাফুল ইসলাম আনন্দ, মোঃ রাসেল, মনি রানী দেব, দিক্ষা কর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোঙ্গ আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয় এবং শিশু কিশোর আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমান দর্শক উপস্থিত ছিলেন।প্রেস বিজ্ঞপ্তি