Main Menu

পেশোয়ারের এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যারা নিন্দা করে নাই তারা দুর্বল ঈমানের লোক-মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

+100%-

বিশেষ প্রতিনিধি::প্রধান মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, ১৯৭১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা মঞ্চে খেলাঘর আসরের উদ্যোগে ৪ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। বিশিষ্ট চিকিৎসক ও জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, অতি সম্প্রতি পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে তালেবানদের হামলায় ১৩২ জন শিশু সহ ১৪১জন নিহত হয়েছে। পেশোয়ারের এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যারা নিন্দা করে নাই তারা দুর্বল ঈমানের লোক। আল্লাহর আদেশ মানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। যারা আল্লাহর আদেশ মানেনা, তারা মুসলমান নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ায় আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। আমরা মানুষের বসবাসের জন্য অনুপযোগী পাকিস্তান থেকে বেঁচে গেছি এটাই আমাদের বড় অর্জন। পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষীদের একটি মাত্র স্বাধীন দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ, এটিই আমাদের বড় অর্জন। মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আরো বলেন, যারা ধর্মের নামে ব্যবসা করে তারা ভন্ড। তাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের দেশে হরকাতুল জিহাদ “জেএমবি” হিজবুত তাহেরি, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম, হিজবুত তাওহীদ সহ একাধিক ইসলামিক দল ধর্মের নামে অরাজকতা, নাশকতা করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি গোষ্ঠী ইসলাম রক্ষার নামে রাজনীতি করে। ওই চক্রটি ইভটিজিং, ফেনসিডিল ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু ও সুদখোরদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যদি স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সকল সেক্টরে উন্নতি হচ্ছে। বাঙ্গালী এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কেউ বাঙ্গালীর অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারবেনা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা সাহিত্য- সংস্কৃতিতে অগ্রগামী ছিলাম। কিন্তু একটি মহল ওই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়েছিল। ওই চক্রটি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগে কোন বিরোধ নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করছি। শিক্ষিত, পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডঃ তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত এবং গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিত ভাদুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জুয়েলুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।






Shares