মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুখি সম্মৃদ্ধ হলে সেটাই হবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
ডেস্ক ২৪::৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরে সপ্তাহ ব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সপ্তম দিনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় মেলা উদযাপন পরিষদ কর্তৃক অয়োজিত সপ্তম দিনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. রফিকুল হক। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদর উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ। সভায় সভাপত্বি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মুখলেছুর রহমান খান। সভা পরিচালনা করেন সংস্কৃতি কর্মী আল আমিন শাহিন। সভার প্রথমেই শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা তখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তাঁরা আজ কিছু পাবার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করাটা আমাদের ইমানী দায়িত্ব ছিল। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের মাতা পিতা পাকিস্থানী জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমাদের আদেশ করেছিলেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অত্যন্ত দুঃখ জনক এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরী হওয়া জাতির জন্য কলঙ্ক। সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কোন বদনাম হয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ যাতে সুখি সম্মৃদ্ধ হয় সেটাই হবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আমাদের সন্তন যেন বলতে পারে আমার বাবা আমাদের জন্য এই সুন্দন দেশটি উপহার দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাঙ্গালী জাতির জন্য কলঙ্ক জনক অধ্যায় উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বাঙ্গালী জাতির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শক্তি জয় বাংলা শ্লোগানকে ধরে রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন অর্থনৈতিক মুক্তি ছারা কোন জাতির স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয় না। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। তার সে চেষ্টা সফল হলে দেশ আজ মালইশিয়ার চেয়েও উন্নত হত। মেলা মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্না ভূমিকা রাখার জন্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলুকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। মেলায় নটবেহাগ, তিতাস অবৃত্তি সংগঠন ও জেলা নাগরিক ফোরামের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। মেলায় অংশ দর্শক সমাগম হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সন্ধ্যায় মেলা চলবে। মেলায় প্রতিদিন দেশ বরণ্যে ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।