নিয়োগপত্রের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাস ফিল্ডসের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও
শামীম উন বাছির ::উচ্চ আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় সীমার মধ্যে নিয়োগ কার্যকর না করায় গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডসের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে নিয়োগ প্রত্যাশীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নিয়োগ প্রত্যাশীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিজিএফসিএলের প্রধান কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে গিয়ে হাজির হয়। পরে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের মূল ফটক ঘেরাও করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কার্যালয়ে ঢুকতে ও ভেতর থেকে বেরুতে দেয়নি। ঘেরাওয়ের কারনে প্রধান কার্যালয়সহ গ্যাসফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ রয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশের বেঁধে দেওয়া ৬ মাস পার হলেও নিয়োগপত্র না দেওয়ায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪৩ জন প্রার্থী এ কর্মসূচী পালন করছেন। গতকাল দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলছিল।
নিয়োগপ্রার্থী নাহিদ বাবু, জোবায়ের হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের দেওয়া ছয় মাস সময় পার হয়েছে। তারপরও তারা আমাদের নিয়োগ দেওয়া নিয়ে গড়িমসি করছেন। আমরা নিয়োগপত্র না নিয়ে যাব না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএফসিএলে কম্পিউটার অপারেটর, গাগিচালক, ইলেকট্রিশিয়ান ও অ্যাটেনডেন্ট পদে জনবল নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর ১৪৩ জনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তাভাবে মনোনীত করা হয়। এ অবস্থায় নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তা তদন্ত করে। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ে নিয়োগ কার্যক্রম। এর পর থেকেই ওই ১৪৩ জন প্রার্থী আন্দোলন করছেন। চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার পরেও নিয়োগ না দেওয়ায় তাঁরা গত বছর হাইকোর্টের আপিল বিভাগে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।
আদালত চলতি বছরের ১২ জুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেন। কিন্তু ওই নির্দেশ দেওয়ার পর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ আজও নিয়োগপত্র দেয়নি।
এ ব্যাপারে বিজিএফসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।