হেলিকপ্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে জরিমানা গুনলেন জামাল রানা



আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জামাল রানাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী তিনি।
জামাল রানা সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুব সংহতির সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বিএনএম থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। বিএনএমের নির্বাচনী প্রতীক নোঙর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ দুপুর ১টার দিকে জামাল রানা হেলিকপ্টারে চড়ে সদর উপজেলার কোড্ডা মিতালী ফুটবল মাঠে নামেন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং গলায় ফুলের মালা পরান। পরে তিনি কোড্ডা রেললাইন এলাকায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আমি কখনো লাঙ্গলকে ছাড়ি নাই। কিন্তু লাঙ্গল আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। আপনারা কেউ ভাববেন না, ব্যক্তিগত ভালোর জন্য লাঙ্গল ছেড়ে নোঙরে এসেছি। আমি ৩৫ বছর ধরে লাঙ্গল করেছি। কিন্তু বারবার লাঙ্গলকে নিয়ে এই এলাকায় ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। এই জন্য নোঙর নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি।’
পরে তিনি কোড্ডা এলাকায় ভূঁইয়া বাড়িতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকার লোকজনের সঙ্গে সভা করেন। সভায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেনকে আচরণবিধি দেখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় একজন জামাল রানার আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিকেল ৪টার দিকে কোড্ডা এলাকায় পৌঁছে ওই প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই প্রার্থী আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জামাল রানা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাই গতকাল (মঙ্গলবার) ইতালি থেকে দেশে আসে। তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে এলাকায় আসি। হেলিকপ্টার আমাদের নামিয়ে ঢাকায় চলে যায়। আমার ভাই ইতালি থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে। আমি তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে এলাকায় এসেছি। আর আমি এলাকায় এলেই লোকজন জড়ো হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরণবিধির ৮ (গ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার কাজে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। তবে দলীয় প্রধান যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার থেকে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচারসামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করতে পারবেন না।