সেবা দেওয়ার বালাই নেয়, আবার ডাকে ধর্মঘট!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট। ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে থ্রি হুইলার বা তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে জেলা বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়া বলেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে শহরের ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনাল ও পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
যাত্রীদের অনেকেই আক্ষেপ করে বলেছেন, তারা আজ পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। বাস ব্যবসায়ীরা শুধু হাক ডাকই করতে পারেন তাদের কোন সেবা দেয়ার ক্ষমতা নেয়। যখন সিএনজি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তখন মহাসড়কে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে জানান সুহিন হাজারী নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, স্বল্প দূরত্বের জায়গা গুলোতে বাসের ভাড়া তখন নেয়া হয়েছিল কয়েকগুন। আর বাসের ভেতর তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। তখন কিন্তু ভালো বাস দেয়নি বাস মালিকরা, তারা পুরাতন বাস রঙ্গ করে বছরের পর বছর চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে যদি আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসের ব্যবস্থা করা হত তাহলে হয়ত আমরা এ অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পারতাম।
কসবা উপজেলাগামী এক কলেজ ছাত্রী বলেন, লেখাপড়া করার জন্য প্রতিদিনই এত দূর থেকে আসি, এমনিতেই ভাঙ্গা সড়কে আসতে প্রাণ বেড়িয়ে যায় এখন আবার কয়েকদিন বাস মালিকদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে। তারা ভাল পরিবহন ও সেবার মান উন্নত করলেই তো পারে। আর যে এলাকার মানুষ সিএনজিতে চলাচল করে সেখানে বাসের ব্যবহার হবে কিভাবে ?