সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল
সিসিটিভি স্থাপনের পর হাসপাতালে দালাল দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হবে না ::জেলা প্রশাসক
জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার প্রতি সরকারের সবসময় নজর আছে।
আজ ১১ ডিসেম্বর সোমবার জেলা সদর হাসপাতালে সিসিটিভি কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৪৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা করা হয়েছে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য সরকার দেশের সব জায়গায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। সেজন্যই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ১৩টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আরো ৩টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এই সিসিটিভি স্থাপনের পর হাসপাতালে দালাল দ্বারা কেউ হয়রানির শিকার হবে না। রোগীরা আরো বেশি সহয়তা পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএমএর সাধারন সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলামসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।
এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভি চালু হওয়ার পর হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। দালালদের সনাক্ত করা যাচ্ছে। যে কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।