Main Menu

মাদক,সন্ত্রাস সহ সকল প্রকার অস্থিরতা দূর করতে হলে সংস্কৃতিচর্চাকে সর্বস্থরে ছড়িয়ে দিতে হবে:জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান

+100%-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন,দেশ থেকে মাদক,সন্ত্রাস সহ সকল প্রকার অস্থিরতা দূর করতে হলে সংস্কৃতিচর্চাকে সর্বস্থরে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে দেশজ সংস্কৃতি বিকাশের জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাংস্কৃতিক উৎসবকে সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করবার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংস্কৃতিক উৎসবে জেলার সর্বস্থরের শিল্পি-সংস্কৃতিসেবীরা অংশ নিয়েছে। দুদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব প্রাণের মেলায় পরিনত হয়েছিলো। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

তিনি  শনিবার রাতে শহরের সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তনে দুইদনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো.সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর,সরকারী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফের এএসএম শফিকুল্লাহ, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার,মুক্তিযোদ্ধা কন্ঠশিল্পি ফিরোজ আহমেদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.সাহেদুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সঙ্গীত প্রশিক্ষক পাপিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমবেত সঙ্গীতের মাধ্যমে তাদের পরিবেশনা শুরু করেন। এসময় তারা নানা প্রকার লোক-পল্লী-আঞ্চলিক গানের মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীতে নবীনগর আনন্দ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বর্মণের নেতৃত্বে শিল্পিরা মলয়া সঙ্গীত ও নাসিরনগর থেকে রাধা ভ‚ষণ চক্রবর্তী রাধু ঠাকুরের নেতৃত্বে শিল্পিরা বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবে বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করে। উৎসবে অংশ নেয়া সকল শিল্পিদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।





Shares