মর্যাদার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা
প্রকৃচি বিসিএসসহ ২৬ ক্যাডার এবং নন ক্যাডার সমন্বয় কমিটি কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃত্য পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলা, উপজেলায় ইউএনও’র কর্তৃত্ব বাতিল ও বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিস বর্হিভূত সকল ধরনের প্রেষণ বাতিল, সকল ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক-বিসিএস সমন্বয় জেলা কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ও সদর উপজেলা প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক-বিসিএস সমন্বয় কমিটির অন্তত কয়েক’শ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক-বিসিএস সমন্বয় কমিটি জেলার শাখার সভাপতি ও সিভিল সার্জন ডা. হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু নাছের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হামজা মাহমুদ, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বজলুর রশীদ, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কবির হোসেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও প্রকৃচি বিসিএসসহ ২৬ ক্যাডার নন ক্যাডার সমন্বয় কমিটির সদর উপজেলার সভাপতি ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন, কৃষি বিদ কাজী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাদ দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। বেতন স্কেলে দ্বিগুণের বেশি বেতন বাড়লো সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল না থাকাতে এককভাবে লাভবান হবেন প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা। কারণ অনেক বিভাগে পদন্নোতি নাই, আবার অনেক বিভাগে ১০, ২০ বছরেও পদোন্নতি হচ্ছে না। কিন্তু প্রশাসনিক ক্যাডারে পদ না থাকলে পদোন্নতি হয়ে যায়। বক্তারা ৬টি দাবী উত্থাপন করেন: ১। কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ২। উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত দপ্তর সমূহের বেতন, ভাতাসহ আর্থিক ও অন্যান্য বিষয়ে ইউএনও এর অন্যায্য স্বাক্ষর ও নিয়ন্ত্রণ বাতিল করতে হবে, ৩। সকল ক্যাডারে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, ৪। স্ব স্ব ক্যাডারের হাতে স্ব স্ব বিষয়ক ভিত্তিক ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করতে হবে, ৫। উপজেলা, জেলা, অঞ্চল, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সকল বিভাগে সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা একই হতে হবে, ৬। অষ্টম জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ এ বাতিলকৃত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল করতে হবে। বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে বৃটিশ শাসনামলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা চলতে পারে না। তাই কৃত্য পেশাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়ে তোলার দাবিতে পেশাজীবিরা আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। কারণ মর্যাদার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চরণ করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বিজয়নগর ও আখাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহ আলমের নির্দেশে বিজয়নগর উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচী পালন করেন। এ সময় ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মনির হোসেনের নেতৃত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রউফ, নিরঞ্জন দেবনাথ, শামসুদ্দিন, হুমায়ুন কবির, হাফিজ উল্লাহ্, মহিউদ্দিন, আরশাদুল ইসলাম, আলাল উদ্দিন, শাহীন মিয়া, আশরাফ আলী, ইকবাল হোসেন, মনিরুল আলম, মাহমুদুর রহমান, উৎপল সরকার, সিএইচসিপি মাওঃ হোসেন, জয়শ্রী চৌধুরী, শরিফ উদ্দিন, সঞ্জয় কুমার গোপ, ওমর ফারুক, সাফায়েত, বিলকিছ ও নাঈম।